Take a quick look at the details of this year’s Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যা হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই তিথিতে দেবী কালীকে বিশেষভাবে আরাধনা করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই তিথিতেই দেবী কালী শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। এই কারণেই এই তিথির নাম কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya)। কোষ থেকে এই তিথির নামকরণ করা হয়েছে। তাই এই তিথির সঠিক নাম কৌষিকী অমাবস্যা। বর্তমানে চলিত ব্যবহারের স্রোতে কৌষিকী হয়ে গিয়েছে কৌশিকী।
কৌশিকী অমাবস্যার দিন উপবাস রাখা, দেবী কালীর পূজা করা, শ্রাদ্ধ, দান-ধ্যান করা ইত্যাদি প্রথা রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে উপবাস করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই তিথিতে দেবী কালী মায়ের পূজা করলে সংসারের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দু ধর্মের শাক্ত ধারায় তন্ত্রসাধনার জন্য আদর্শ দিনক্ষণ হল কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya)।
২০২৩ সালের কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) পড়েছে ১৪ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। এই দিনটি বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৭শে ভাদ্র। অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ১৪ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৫:৩১ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৫ই সেপ্টেম্বর সকাল ৬:৩০ মিনিটে। অর্থাৎ, এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা অহোরাত্র থাকবে।
কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) উপলক্ষে বিভিন্ন কালী মন্দিরগুলিতে আয়োজন ও প্রস্তুতি তুঙ্গে। কৌশিকী অমাবস্যার দিন কিছু বিশেষ টোটকা রয়েছে, যা পালন করলে নানান বাধা-বিপত্তি দূর হয়। যেমন, এই তিথিতে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে দেবী কালীকে প্রণাম করা, দেবীর মন্ত্র জপ করা, দেবীর কাছে মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা জানালে সেগুলি পূরণ হয়। এছাড়াও, এই তিথিতে গরিব দুঃখীদের খাবার দান করলে পুণ্যফল লাভ হয়। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে তন্ত্র সাধনারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই তিথিতে তন্ত্র সাধনা করলে তা খুব দ্রুত ফল দেয় বলে মনে করা হয়। তাই এই তিথিতে তান্ত্রিক গণকে তন্ত্র সাধনায় রত থাকতে দেখা যায়।
সারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে কৌশিকী অমাবস্যার দিন নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারাপীঠে এই তিথিতে বিশেষ পূজা-অর্চনা করা হয়। এই তিথিতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত তারাপীঠে হাজির হন এবং দেবী কালীর পুজো করেন।