Precautions for use of Digene Syrup to improve digestion: অল্পবয়সী থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবারই মোটামুটি ফাস্টফুড অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু এই ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে গ্যাস অম্বল। ফলে খুব অল্প বয়সেই বিভিন্ন রকমের অ্যাসিডিটির ওষুধ সেবন করতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে যেসব রকমের অ্যাসিডিটির ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে একটি হলো ডায়জিন সিরাপ (Digene Syrup)। তবে বাজারে যে ডায়জিন সিরাপটি পাওয়া যাচ্ছে, সেই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে যা আপনার মনে ভীতির সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডিসিসিআই তথা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এই সিরাপ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মূলত গোয়া প্লান্টে এই সিরাপটি উৎপাদিত হতো। ফারমা কোম্পানি অ্যাবট ইন্ডিয়া এই সিরাপটি তৈরি করত। তবে এক গ্রাহক এই সিরাপটির বিষয়ে অভিযোগ দাহির করেছেন। তাঁর বক্তব্য হল এই ডায়জিন সিরাপের (Digene Syrup) স্বাদ মূলত মিষ্টি এবং গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় ব্যাচের সিরাপটির স্বাদ ছিল তেতো এবং সাদা রঙের ছিল। বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমে এই নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে।
সিরাপ সম্পর্কিত এই তথ্য সামনে আসায় ডিসিজিআই গোয়া প্ল্যান্টে তৈরি এই সিরাপ উৎপাদন বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। ডিসিজিআই-এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই নোটিশ জারি করে হয়েছে। ৯ই আগস্ট এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই সিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও সামনে আসে নি। তবে ডিসিজিআই এক চিঠিতে জানিয়েছেন, এই ডাইজিন সিরাপ সম্পর্কে যদি কোনো তথ্য সামনে আসে তাহলে অবিলম্বে স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করুন। তাই ১১ আগস্ট অ্যাবট ইন্ডিয়া কোম্পানি জানায় যে, তাঁরা বাজার থেকে এই ব্যাচে তৈরি সিরাপ তুলে নিচ্ছে।
মূলত কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই অ্যাবট ইন্ডিয়ার আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সংস্থার মাধ্যমে ওষুধ বাতিল করা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ অনুযায়ী সিরাপের (Digene Syrup ) স্বাদ ও রঙের পার্থক্য ছাড়া আর কোন অভিযোগ এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তিনি আরও দাবি করেন, ডায়জিনের অন্য ফর্ম তথা ডায়জিন ট্যাবলেট এবং স্টিক প্যাকের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে নি। এমনকি এই কোম্পানির অন্য প্ল্যান্টে উৎপাদিত কোন ডায়াজিনের ওপরই কোন প্রভাব পড়েনি।
তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হুটহাট করে ওষুধ খাওয়া যাবেনা। শরীরে গ্যাস অম্বলের প্রবেশ আটকাতে হলে অবশ্যই পরিমাণ মতো ভালো খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতে হবে। ফাস্টফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।