ISRO now wants to build Space Center: মহাকাশ দুনিয়াতে ভারতের স্থান এখন অনেকটাই উঁচুতে। চন্দ্রযান-৩-তে সাফল্য লাভ করার পর সূর্যের কক্ষপথেও মহাকাশযান পাঠিয়েছে ইসরো (ISRO Space Center)। চন্দ্র এবং সূর্যের পর একসাথে মঙ্গল ও শুক্র গ্রহেও মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একের পর এক সফলতার সিড়ি পার করার পরও মহাকাশে স্পেস স্টেশন নেই ভারতের। খুব শীঘ্রই হয়তো মহাশূন্যে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে ভারত। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ইসরোর প্রধান এস সোমনাথকে। উত্তরে কি বলেছেন তিনি? আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই ইসরো স্পেস স্টেশন তৈরি করবে।
ইসরোর (ISRO Space Center) প্রধান এস সোমনাথ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন যে, গগনযান প্রকল্পের দ্বারা মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জোরকদমে। এই অভিযান সফল হলেই মহাকাশে স্পেশ স্টেশন তৈরি করার চিন্তাভাবনা শুরু করা হবে।
কিন্তু স্পেস স্টেশন তৈরি করা তো মুখের কথা নয়, কত সময় লাগতে পারে এটি তৈরি করতে? কি বলেছেন ইসরো প্রধান? সোমনাথ বলেন, আশা করা যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে স্পেস স্টেশন। প্রত্যেকটা পদক্ষেপ আসতে আসতে পার করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য মহাকাশে মানুষ পাঠানো এবং আরও কয়েকটি মহাকাশ অভিযান এখন ইসরোর (ISRO Space Center) প্রধান উদ্দেশ্য এর তালিকায় রয়েছে।
গগনযানের পর ইসরোর(ISRO Space Center)পরিকল্পনার তালিকাতে কি কি রয়েছে জানেন কি? সে সম্পর্কে কি বলেছেন এস সোমনাথ? ইসরোর পরবর্তী পদক্ষেপই হল স্পেস স্টেশন তৈরি। এরপরে চাঁদে ফের মহাকাশযান পাঠাবো এবং তাতে থাকবে মানুষ। এটাই ইসরোর মূল পরিকল্পনা। ১৯৯৮ সালে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, কানাডা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশে প্রথম স্পেস স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল।
ইসরোর প্রাক্তন যিনি প্রধান ছিলেন কে শিবন তিনিও জানিয়েছিলেন, ইসরোর নিজস্ব একটি স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে কাজ করবে ভারতের এই স্পেস স্টেশন। আসলে এটি কিন্তু ভারতের একক প্রচেষ্টায় তৈরি করা হবে, তাই আকারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের থেকে অনেকটাই ছোট হবে। সেখানে মাইক্রো গ্রাভিটি সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে মহাকাশে ভ্রমণ বা পর্যটন শুরু করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানিয়েছে ইসরো।