Puri Jagannath Temple: পুরির জগন্নাথ মন্দিরে ভগবানের পায়ে প্রতিবছর ভক্তরা কত দান করেন! জানতে ইচ্ছে?

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

You will be surprised to know the amount of jewels in Jagannath temple in Puri: বাঙালি তথা হিন্দু ধর্মের সমস্ত মানুষের কাছে পুরী হল অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। পুরী যাওয়া মানেই জগন্নাথ দেবের দর্শন। পুরীর মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে যেমন অলৌকিক কাহিনী শোনা যায় তেমনি এর রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে বহু জল্পনা করা হয়েছে। ওড়িশা হাইকোর্টের ফের পুরীর মন্দিরের ধন-সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে এখনো অব্দি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবার সোনা হীরে এবং রুপোর অলংকারের কোন হিসেব কিংবা তালিকা এখনও জমা করেনি। তাই রহস্য যথেষ্টই ঘনীভূত হয়েছে এই প্রসঙ্গে।

Advertisements

চলতি বছরে ৩০ শে জুন ওড়িশা হাইকোর্টে ফের একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরীর মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) অলংকার সম্পর্কে বিস্তারিত তালিকা পেশ করা। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, পিটিশন দাখিলের পর হলফনামা দাখিলের জন্য মন্দির প্রশাসনকে নোটিশও জারি করা হয়েছে।

Advertisements

পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) প্রধান প্রশাসক এই প্রসঙ্গে কি বলেছেন? মন্দির কমিটি অবশ্যই কোর্টের পাঠানো নোটিশ দেখবে এবং সেই সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া পেশ করবে। জগন্নাথ মন্দির আইন ১৯৫৫ তে বলা হয়েছে যে প্রতি তিন বছর অন্তর পুরীর মন্দিরের রক্ত ভান্ডার খুলে তার তালিকা করে পেশ করতে হবে। দীর্ঘ ৪৫ বছর সেই নিয়মের পালন করা হয়নি।

Advertisements

১৯২৬ সালের মন্দিরের কোষাগরে থাকা সামগ্রিক তালিকা তৈরি করা হয়েছিল এবং ৫২ বছর পর ফির রত্ন ভান্ডার খুলে তার তালিকা করা হয়েছিল। কিন্তু দাবি করা হয়েছে সেই সময় হিসাবে নাকি মন্দিরের গয়নার কোনরকম হিসাব সামনে আসেনি। উড়িষ্যা সরকার ২০১৮ সালের ফির উদ্যোগ নিয়েছিল মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) রত্ন ভান্ডার খুলে সমস্ত ধনরাশির হিসাব করার। কিন্তু অফিসাররা মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের চাবি খুঁজে না পাওয়ায় গোটা ব্যাপারটাই রহস্যের আবডালে ঢাকা পড়ে যায়।

প্রত্যেক বছর কোটি কোটি মানুষ এই মন্দিরে জগন্নাথ দেবের দর্শন এর জন্য আসেন। সেখান থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের আয় হয় আনুমানিক ১৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রত্যেক বছর মন্দির কর্তৃপক্ষ ১.৭২ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে পায়। এছাড়াও আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো জগন্নাথ মন্দিরের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমানো আছে আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকা। এর সাথে রত্নভাণ্ডারে কতটা পরিমাণ সোনা, হিরে কিংবা রত্ন রয়েছে তার সঠিক হিসাব কেউ জানে না।

Advertisements