নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। গণপরিবহনের লাইফ লাইন হিসাবে ভারতীয় রেল যাত্রীদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই সকল চেষ্টার ফসল হিসাবেই দেশের মাটিতে চলছে নতুন নতুন ট্রেন, নতুন করে সাজানো হচ্ছে রেল স্টেশনগুলিকে।
দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনকে নতুন করে সাজানো এবং সেই সকল রেলস্টেশনে নতুন নতুন পরিষেবা যুক্ত করে দেওয়ার তালিকায় এবার নাম লেখালো বনগাঁ রেল স্টেশন (Bangaon Railway Station)। এই রেল স্টেশনে আসা যাত্রীদের কষ্ট যাতে লাঘব করা যায় তার জন্য রেলের তরফ থেকে স্টেশনে চালু করা নতুন একটি পরিষেবা। এই পরিষেবার পরিপ্রেক্ষিতে হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন উপকৃত হবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
আসলে বনগাঁ রেলস্টেশনে রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে উদ্বোধন করা হলো এসকেলেটরের। এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাহিদা মেনে রবিবার এই পরিষেবার পথ চলা শুরু হলো। এর ফলে এই স্টেশনে আগত যাত্রীদের আর কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে হবে না। খুব সহজেই যাত্রীরা এসকেলেটর দিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন এক প্লাটফর্ম থেকে অন্য প্লাটফর্মে।
বনগাঁ রেলস্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। রেল সূত্রে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই এসকেলেটর দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ৯ হাজার জন যাত্রী যাতায়াত করলেও কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়াও এই পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে উন্নত এবং আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে রেল। রেলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে, বনগাঁ রেলস্টেশনে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩৭ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। এক্ষেত্রে এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের জন্য এই পরিষেবা খুবই উপকারে আসবে।
বনগাঁ রেলস্টেশনে এসকেলেটর পরিষেবা চালু করার জন্য রেলের তরফ থেকে ৮২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমন পরিষেবা উদ্বোধনের পর মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, এই পরিষেবা প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্লাটফর্মে যেতে দারুণভাবে সুবিধা যোগাবে। আগামীদিনে বনগাঁ রেলস্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।