Lakshmi Bhar: লক্ষীর কৃপা চান? লক্ষীর ভাঁড় ব্যবহারের এই নিয়ম মানলেই সঞ্চয় বাড়বে

Lakshmi Bhar: মধ্যবিত্তের অসময়ের সম্বল হল একটি লক্ষীর ভাঁড় । চিরাচরিত কাল থেকেই মধ্যবিত্তের ঘরে এই জিনিসটির ঠাঁই মেলে। যা হল একটি লক্ষীর ভাঁড় । যাতে বিরাজ করে স্বয়ং মা লক্ষী। বাড়ির গৃহকর্তির হাতেই মূলত এই লক্ষীর ভাঁড় এর দায়িত্ব থাকে। তবে শুধু বড়রা নয়, ছোটদেরও অর্থ সঞ্চয় শেখাতে তাদেরও আলাদা ভাঁড় দেওয়া হয়।

প্রতিদিন সংসারের খরচ থেকে বাঁচিয়ে একটু একটু করে লক্ষীর ভাঁড়ে ফেলেন বাড়ির গৃহকর্তৃরা। সংসারের অসময়ে দিনে টাকার প্রয়োজন পড়লে এই লক্ষীর ভাঁড়ের খুচরো টাকাই হাতে তুলে দেন গৃহকর্তীরা। সাধারণত এই ভাঁড় হয় গোলাকার, লাল রঙের দেখতে এবং ভাঁড়ের মাঝে একটি ছোট ছিদ্র থাকে যার মধ্যেই রোজের খুচরো পয়সা সঞ্চয় করে মা ঠাকুমারা। তবে বর্তমান দিনে অনলাইন লেনদেনের যুগে এই ভাঁড়ের চাহিদাও কমেছে। তাই ভাঁড় বিক্রেতাদের ব্যবসাও মার খাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Dog Chase Prevention: রাস্তায় কুকুর তাড়া করলে বাঁচবেন কীভাবে? রইল কার্যকরী টিপস!

জ্যোতিষশাস্ত্র এর মত অনুযায়ী এই ভাঁড় সাধারণ ভাবে ব্যবহার করলেই চলে না। বরং এই ভাঁড় ব্যবহারের কিছু বিশেষ টোটকা রয়েছে। সেই টোটকাগুলো মানলে ঘিরে লক্ষী হবে চিরস্থায়ী।

টোটকাগুলো হল :
১) মাটির ভাঁড়ের মধ্যে একটা নীল পদ্মফুলের ছবি আর একটা হাস্যমুখ কুবের দেবতার ছবি ছোট করে মুড়ে ভরে দিন। তারপর ভাঁড়টা বাড়ির ঈশান কোণে বা উত্তর-পশ্চিম কোণে রেখে দিন। এর পর তাতে আপনার ইচ্ছামতো টাকাপয়সা ফেলতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ভাঁড়ের টাকায় হাত দেবেন না।
২) বর্তমান সময়ে বাজারে প্রচুর লাল সবুজ রঙের প্লাস্টিকের ভাঁড় পাওয়া যায়, তবে প্লাস্টিকের ভাঁড়ে হলে এই টোটকা কাজে দেবে না।
৩) পুজো করার সময় এই ভাঁড়ে প্রত্যেক দিন ধূপ দেখাতে হবে। কারণ এই ভারে স্বয়ং মা লক্ষীর বাস।

এই টোটকা যদি কেউ নিষ্ঠার সাথে পালন করলে বাড়িতে ধনসম্পদ ফুলেফেপে উঠবে। টাকা উপার্জনের পরিমাণে দ্বিগুণ হবে। এ ছাড়া সঞ্চয়ও বাড়বে। যা সুখ ফেরাবে মধ্যবিত্তের সংসারে।