নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি বহু মানুষকেই সেলিব্রেটি হতে দেখা গিয়েছে। দেশজুড়ে যেমন এই ধরনের সেলিব্রেটি রয়েছেন ঠিক সেই রকমই বাংলাতেও এমন সেলিব্রেটির অভাব নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যারা সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন তাদের মধ্যে বাংলার রানু মন্ডল, ভুবন বাদ্যকর, মিলন কুমার সহ রয়েছেন নন্দিনী (Nandini)। তার ভাতের হোটেলের দৌলতেই তিনি আজ এত বড় একজন সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন।
ডালহৌসিতে থাকা অফিস পাড়ায় একটি পাইস হোটেল চালিয়ে নন্দিনী যে এত জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন তা হয়তো তিনি নিজেও কোনদিন ভেবে উঠতে পারেননি। তবে বিষয়টি ভাবনাতীত হলেও তাই বাস্তবের রূপ নিয়েছে। ভালো-মন্দ মিশিয়ে নন্দিনীকে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় থাকতে দেখা যায়। আর এসবকে ছাড়িয়ে এবার তিনি পা রেখেছেন অভিনয় জগতে। তবে অভিনয় জগতে সুযোগ পেলেও তিনি কিন্তু তার পুরাতন ব্যবসা অর্থাৎ ভাতের হোটেল ছাড়ছেন না।
নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায় এই মুহূর্তে কাজ করছেন প্রিয়দর্শী বন্দোপাধ্যায় পরিচালিত ‘তিন সত্যি’-তে। এই সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রথমেই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মত একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। তবে নন্দিনী কখনোই নিজের পুরাতন ব্যবসাকে ভুলে যাননি এবং উল্লেখযোগ্য হবে দুটি জায়গাকেই এখন সমানতালে সামলাচ্ছেন।
নন্দিনী এক সময় গুজরাটে চাকরি করতেন। কিন্তু চাকরি-বাকরির ছন্দপতন হয় যখন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে এবং লকডাউন জারি হয়। এরপর সংসারের হাল ধরতে তিনি হাত লাগান বাবার তৈরি ভাতের হোটেলে। তার হাতের ছোঁয়াতেই তার বাবার হোটেল দিন দিন শ্রী বৃদ্ধি পেতে শুরু করে আর তার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা জায়গা করে নেন তিনি। তবে নন্দিনী জানিয়েছেন, যেখানে তাদের এই পাইস হোটেল রয়েছে, তার জন্য প্রতি মাসে মাসে তাদেরকে ভাড়া গুনতে হয়।
অভিনয় করে যে টাকা পাবেন সেই টাকা থেকে তিনি কি করবেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নন্দিনী জানান, তাদের যে হোটেলটি রয়েছে সেটি অনেক পুরাতন এবং এক প্রবীণ নাগরিকের। খাতায়-কলমে কিছু না থাকলেও তিনি মানবিকতার খাতিরে প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে থাকেন। এখন সেই দোকান তিনি অভিনয়ের টাকা দিয়ে কিনতে চাইছেন। তবে যে প্রবীণের এই দোকান তিনি কোন অর্থের বিনিময়ে এই দোকানটি বিক্রি করতে চান না। যে কারণে তার স্বপ্ন দোকান কিনে নিজের দোকান করার হলেও তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।