How the loco pilot knows from which compartment the alarm chain is pulled: ভারতের বিভিন্ন গণপরিবহনের মধ্যে ভারতীয় রেল হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবহন। মানুষ সহজেই ট্রেনে করে দূর কিংবা কাছে সব জায়গাতেই স্বল্প খরচে ভ্রমণ করতে পারে। এছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ কিন্তু বড়ই আরামদায়ক হয়। সম্প্রতি ভারতীয় রেল নিজেদেরকে আরও বেশি উন্নত করছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে। এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে পরিষেবা হচ্ছে উন্নত থেকে উন্নততর। কিন্তু জানেন কি রেল কিভাবে বোঝে কোন বগি থেকে চেইন (Alarm Chain) টানা হচ্ছে?
ভারতীয় রেল বরাবর যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখে। কিন্তু কখনো বিশেষ কারণবশত কোনো বগি থেকে চেন টানা হলে সেটা ভালোভাবেই বুঝতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। অদ্ভুতভাবে রেল তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরে যায় কোন বগি থেকে চেন টানা (Alarm Chain) হচ্ছে। এই অদ্ভুত কৌশল এর ওপর ভর করে বছরের পর বছর চলে আসছে ভারতীয় রেল। কিন্তু এর আসল রহস্য কি আপনাদের আদৌ জানা আছে? চলুন দেরি না করে জ্বর জলদি জেনে নেই সেই বিশেষ কৌশলটি।
ট্রেনের বগির চেন টানার (Alarm Chain) সাথে কিছু বিষয় কিন্তু জড়িয়ে আছে। সেই বিষয়গুলো জানলেই বুঝতে পারবেন যে রিয়েল কর্তৃপক্ষ কিভাবে বুঝতে পারে কোন বগি থেকে চেন টানা হচ্ছে। যখন কোন বগি থেকে চেন টানা হয়, সেই মুহূর্তেই একটি ভাল্ব ঘুরতে থাকে। সেটাই নির্দেশ করে দেয় কোন বগিতে চেইন টানা হচ্ছে।
এছাড়াও, আরেকটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে বগি থেকে চেন টানা হয় সেখান থেকে এয়ার প্রেশার নির্গত হওয়ার শব্দ পাওয়া যায়। চেন টানার (Alarm Chain) ফলেই এরকম ঘটে। সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট বগিটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। এরসাথে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কে এবং কেন চেনটি টেনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়েছেন সেটিও স্পষ্ট হয়ে যায়।
যদি হঠাৎ কোনো কারণে বিপদ দেখা যায় তখন চেন টেনে ট্রেন থামানোর জন্য রেল এই ব্যবস্থা চালু করেছে। কিন্তু এর ভুলভাবেও অনেকে ব্যবহার করেন। অনেকে মজার ছলে ট্রেনের চেইন টানেন কিন্তু তা আইনত অপরাধ। ট্রেনের চেইন টানলে সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। কিন্তু আপনাকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে এবং ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রী থেকে শুরু করে ট্রেনের চালকও অসুবিধার সম্মুখীন হয়। তাই কখনো কোনো বৈধ কারণ ছাড়া চেন টানার ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানার মতো বিষয় রাখা রয়েছে।