ফেঁসে গেলেন বালু! ইডি আধিকারিকদের বড় গণ্ডগোলের তথ্য দিয়ে দিলেন মেয়ে প্রিয়দর্শিনী!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালু এখন প্রতিনিয়ত চর্চায়। রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি বারবার যা দাবী করছেন তা নিয়েই চর্চা আরও বাড়ছে। বরাবর তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন এবং মমতা ও অভিষেক সব জানে বলেও দাবি করেছেন। এছাড়াও অভিষেকের কথা উঠলে তাকে রীতিমত থমকেও যেতে দেখা যায়। এসব নিয়ে এখন চর্চার শেষ নেই। এরই মধ্যে আবার নতুন এক ঘটনা ঘটে গেল, আর যে ঘটনায় রীতিমতো ফেঁসে গেলেন বালু।

Advertisements

রাজ্যের মন্ত্রীর এইভাবে ফেঁসে যাওয়ার মূলে কিন্তু রয়েছেন তারই নিয়ে প্রিয়দর্শিনী (Priyadarshini Mallick)। ইডি সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করার পর বারবার দাবি তোলা হচ্ছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মন্ত্রী। মন্ত্রীর থেকে কোন তথ্য না পাওয়ার কারণে ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের তালিকা তৈরি করে রেশন দুর্নীতির কিনারা করতে চাইছে।

Advertisements

তদন্তের জন্য ইডি আধিকারিকরা একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে প্রিয়দর্শনীকে। জানা যাচ্ছে, যে সকল সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হত সেই সকল সংস্থার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ ছিল। এই তথ্য ইডি আধিকারিকরা পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেই জানা যাচ্ছে। ইডির হাতে এই তথ্য আসা মানে তা একপ্রকার চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে প্রিয়দর্শিনী ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, তিনি যখন ডক্টরেট করছিলেন সেই সময় ওই সকল সংস্থার নথি খতিয়ে দেখেছেন। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিন্তু প্রথম থেকেই ঐ সকল সংস্থার সঙ্গে তার কোন যোগ নেই বলেই দাবি করছেন। এছাড়াও বাকিবুর রহমান আরও বড় এক তথ্য ইডি আধিকারিকদের সামনে ফাঁস করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ইডি আধিকারিকদের সামনে ফাঁস করেছেন কালো টাকা সাদা করার কোন মন্ত্র ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে। সেখানেই ফাঁস হয়েছে, এই কাজের জন্য তিনটি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল এবং সেগুলিতে মন্ত্রীর মেয়ে, স্ত্রী ও পরিচালকের স্ত্রী ও মাকে ডিরেক্টর করা হয়েছিল। আর এসব হয়েছিল মন্ত্রির পরামর্শেই।

Advertisements