নিজস্ব প্রতিবেদন : যা ভাবেননি তার থেকেও বেশি সুযোগ এবার মিলবে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে। এবার খুব সহজেই মাসে মাসে ৫০০ টাকা অথবা ১০০০ টাকা পাবেন রাজ্যের মহিলারা। খুব সহজেই এই টাকা রাজ্যের মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনে বড় বদল নিয়ে এলো নবান্ন। যে বদল আনা হয়েছে তা শুনলে আপনিও আনন্দে আটখানা হয়ে যাবেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) স্বপ্নের যে সকল প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার অন্যতম। এই প্রকল্প এমন একটি প্রকল্প যার মধ্য দিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিংহাসনে বসতেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেন। চালু করেন লক্ষ্মীর ভান্ডার।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর হতে হয়। আবেদন করার পর আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছর হয়ে গেলেই এই প্রকল্প বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
এতদিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্যের মহিলাদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। বছরে অন্ততপক্ষে তিনবার দুয়ারে সরকার প্রকল্প হয়ে থাকে। কিন্তু দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ছাড়া এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যেত না। এবার এই ক্ষেত্রেই বড় পরিবর্তন এনে দিল নবান্ন। যাতে করে সারা বছর রাজ্যের মহিলারা প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন তার জন্য এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হয়েছে, এবার বছরের যে কোন সময় রাজ্যের মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাদের আর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। বছরের যে কোন সময় আবেদন করার জন্য গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের যেতে হবে বিডিও অফিসে, অন্যদিকে যারা শহরের বাসিন্দা তাদের যেতে হবে এসডিও অফিসে। কলকাতা পৌর নিগম এলাকার যারা বাসিন্দা তাদের আবেদনের জন্য যেতে হবে পৌরসভায়।