দোল অর্থাৎ বসন্ত উৎসবের সময় দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা প্রতিবছর বোলপুর শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান। তবে সেই ভিড় ২০১৯ সালের পর থেকে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে মূলত বিশ্বভারতী নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করার পরিপ্রেক্ষিতে। তাদের নিজেদের মতো করে বসন্ত উৎসব পালন করার কারণে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং প্রাক্তনীরা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারেন না।
বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে বাইরে থেকে আগত মানুষরা প্রবেশ করতে না পারলেও তাদের প্রত্যেক বছর সোনাঝুরিতে গিয়ে ভিড় জমাতে দেখা যায়। কিন্তু এই বছর দিন কয়েক আগেই সোনাঝুরিতে বনদপ্তরের তরফে একটি ব্যানার লাগানো হয়েছিল এবং তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, এখানে রং খেলা, গাড়ি পার্কিং, ভিডিওগ্রাফি ও ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: Holi Metro Timings Kolkata: দোলের দিনে কখন চলবে মেট্রো? কোন কোন রুটে বন্ধ থাকবে পরিষেবা?
বনদপ্তরের এমন ব্যানারের পর রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়। সোনাঝুরিতে রং খেলা যাবে না এমনটাই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অবশেষে এমন পরিস্থিতির বদল আসে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সোনাঝুরিতে রং খেলায় কোন আপত্তি তাদের থাকছে না। তিনি যা জানিয়েছেন তাতে মূলত বনাঞ্চল বাঁচাতেই এমন সতর্কতামূলক প্রচার। এছাড়াও বীরভূম পুলিশ জানিয়েছে, রং খেলা অথবা বসন্ত উৎসব পালনের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।
এর পাশাপাশি সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বীরভূমে বসন্ত উৎসব পালনের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে বা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। বীরভূম জেলা পুলিশ এই বিষয়ে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার মতো কোন নির্দেশিকা বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে কোথাও জারি করা হয়নি। এই ধরনের মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত থাকার বার্তাও তাদের তরফে দেওয়া হয়েছে।