What is the main difference between an Expressway and Highway: মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে তত পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে। সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ, আকাশপথ সবেতেই রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সড়ক পথে যাতায়াত করা আরো সহজ হয়ে গেছে গুগল ম্যাপের হাত ধরে। গুগল ম্যাপের সাহায্যে যেকোনো লোকেশনকে ট্র্যাক করে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যস্থলে। ছোট বড় যে কোন রাস্তা খুঁজে পেতে এখন আর বেগ পেতে হয় না। গুগল ম্যাপে সবকিছু জানা যায়। রাস্তা কথাটা মাথায় এলেই আরো দুটো শব্দ মাথায় আসে হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে (Expressway and Highway)।
হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের (Expressway and Highway) সাহায্যে অনেক দূরত্বের পথ অনেক সহজেই অতিক্রম করা যায়। দূর দূরান্তের ভ্রমণের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় সবাই হাইওয়ে কিংবা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে থাকি। হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে দুটোই রাস্তা কিন্তু একে অপরের থেকে একেবারেই আলাদা। এই দুটি রাস্তার মধ্যে ঠিক কি পার্থক্য রয়েছে তা আমাদের জানা আছে কি? চলুন আজ এই প্রতিবেদনে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের পার্থক্য সম্বন্ধে আলোচনা করা যাক।
দ্রুতগামী ট্রেন গুলিকে যেমন বলা হয় এক্সপ্রেস ট্রেন। এক্সপ্রেসওয়ের ব্যাপারটাও অনেকটা তাই। হাইওয়ের চেয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। শুধু গতি নয় এক্সপ্রেসের সুবিধা পেতে গেলে হাইওয়ের (Expressway and Highway) চেয়ে টোল ট্যাক্সটাও বেশিই দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশের এবং প্রস্থান করার জন্য আলাদা র্যাম্প করা থাকে।
আরও পড়ুন ? Bharatmala Mega Project: ভারতমালা অতীত! এবার জাতীয় সড়ক তৈরিতে মেগা প্ল্যান কেন্দ্র সরকারের
এক্সপ্রেসওয়েগুলি তুলনামূলকভাবে উচ্চতায় তৈরি করা হয়। হাইওয়ের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ টি লেন থাকে। সেখানে এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে থাকে ৬ থেকে ৮ টি লেন। যেখানে হাইওয়েতে গাড়ির গতিবেগ রাখতে হয় ঘন্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার সেখানে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ রাখা যায় ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার অব্দি (Expressway and Highway)।
এখন অনেকগুলি নতুন এক্সপ্রেসওয়ে (Expressway and Highway) তৈরির কাজ চলছে। এক্সপ্রেসওয়েগুলির মোট দৈর্ঘ্য এখনো পর্যন্ত ৮ হাজার কিলোমিটার। শ্রীনগর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত এনএইচ-৪৪ ভারতের সবথেকে দীর্ঘতম মহাসড়ক হিসেবে খ্যাত। এর দৈর্ঘ্য ৩৭৪৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার হাইওয়ে ১ বিশ্বের সবথেকে বড় হাইওয়ে । যার দৈর্ঘ্য ১৪,৫০০ কিলোমিটার। শুরুর দিকে হাইওয়ে শুধুমাত্র পথচারী এবং ঘোড়সওয়ারদের জন্য ব্যবহৃত হতো। ধীরে ধীরে সড়ক নির্মাণের অগ্রগতির সাথে সাথে ঘোড়ার গাড়ি, বাইসাইকেল এবং বর্তমানে মোটর গাড়ি চলাচলের অনুমতি রয়েছে হাইওয়েতে। ১৯২০-৩০ সাল থেকে এই হাইওয়েকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয় হাইওয়েগুলির (Expressway and Highway) উন্নতি প্রকল্পে।