Scholarship: মাধ্যমিক পাশ করেই মিলবে ১৮ হাজার টাকা! শুধু থাকতে হবে এই যোগ্যতা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এখন ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যা জানা যাচ্ছে তাতে মাধ্যমিকের ফলাফলের জন্য আর খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। মাধ্যমিকের ফলাফল বের হলেই শুরু উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা। উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশুনা মানেই খরচ আরও বেড়ে যাওয়া। তবে খরচ যেমন বেড়ে যায়, ঠিক সেই রকমই সরকারের তরফ থেকে ১৮০০০ টাকাও দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে প্রতিবছরই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বহু ছাত্র-ছাত্রী কেবলমাত্র টাকা পয়সার অভাবেই পড়াশোনায় পাততাড়ি গুটিয়ে দেন। যে সকল পড়ুয়ারা পড়াশুনোর পাততাড়ি গুটিয়ে দেন তাদের মধ্যে আবার বেশ কিছু পড়ুয়া থাকেন যারা অত্যন্ত মেধাবী। এই সকল পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর যোগ্যতা অনুযায়ী এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা দেওয়া হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship) এর মাধ্যমে। তবে এই স্কলারশিপে টাকা পেতে হলে আবেদনকারীদের সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্কেল অনুযায়ী যোগ্যতা থাকতে হবে। যোগ্যতা না থাকলে স্কলারশিপ পাবেন না আবেদনকারী পড়ুয়া।

আরও পড়ুন 👉 শুধু টাকা কামানো নয়, পড়ুয়াদের ৫০ হাজার টাকা স্কলারশিপও দেয় TATA! জানুন কীভাবে

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আওতায় টাকা পাওয়ার জন্য আবেদনকারী পড়ুয়াকে আবশ্যিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। https://svmcm.wbhed.gov.in/ ওয়েবসাইটে অনলাইনেই আবেদন করা যাবে এই স্কলারশিপের জন্য। এই স্কলারশীপে টাকার পরিমাণ আলাদা রয়েছে। পড়ুয়ারা কোন কোর্সে পড়াশুনোর জন্য আবেদন করছেন তার ওপর ভিত্তি করে তিনি কত টাকা সরকারের থেকে স্কলারশিপ হিসাবে সাহায্য পাবেন তা নির্ভর করবে।

আবেদনকারীর যোগ্যতা হিসাবে তাকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হওয়ার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। যদি ৬০ শতাংশ নম্বর না থাকে তাহলে আবেদন করলেও কোন লাভ হবে না। এছাড়াও পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের কোন স্বীকৃত বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উত্তীর্ণ হতে হবে। এর পাশাপাশি যিনি আবেদন করছেন তার পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর ছাড়াও স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের জন্য চালু রয়েছে এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ পেয়ে ইতিমধ্যেই বহু দুস্থ দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা আজ সু-প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য এগিয়ে চলেছেন।