Maithon: পর্যটকদের জন্য দারুণ সুখবর! মাইথনে নির্মাণ হতে চলেছে বিলাসবহুল ফ্লোটিং হোটেল

ব্যস্ততম জীবন থেকে একটু অবসর পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা বেরিয়ে পড়েন সমুদ্র সৈকত বা নিরিবিলি পাহাড়ে। আর বেড়াতে গেলে যেটা অত্যন্ত আবশ্যক তা হল ভালো থাকার হোটেল। আর এবার পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মাইথনে ফ্লোটিং হোটেল তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডিভিসি। মাইথনে নতুন ভাসমান হোটেল তৈরি হলে জলাধারের সৌন্দর্য আরও পর্যটকদের এই জায়গায় টানবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় এই জলাধার তৈরি হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। বর্তমানে এখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ডিভিসি পরিচালিত অতিথিশালা ‘মজুমদার নিবাস’। এছাড়া আশপাশে গড়ে উঠেছে কিছু কয়েকটি হোটেল, রিসর্ট। কিন্তু সিজ়নে প্রাক বুকিং একবারে বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে। নাহলে হোটেল পেতে হিমশিম খেতে হয় পর্যটকদের।

আরও পড়ুন: Snake: সাপকে আকৃষ্ট করে এই পাঁচটি গাছ! বিপদের আগে সরিয়ে ফেলুন

তাই একেবারে বিলাসবহুল ভাসমান হোটেল নির্মাণ এর পরিকল্পনা করেছে ডিভিসি।
দরপত্র থেকে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ পিপিপি মডেলে তৈরি হবে এই ভাসমান হোটেলটি। হোটেলের কারুকার্য, খরচ, পরিচালনা করতে আগ্রহী ফার্ম, প্রাইভেট লিমিটেড, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির কাছ থেকে এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট জানতে চেয়েছে ডিভিসি। ডিভিসি তরফে জানানো হয়েছে, পরিবেশের স্বচ্ছতার কথা মাথায় রেখেই জলের উপরে তৈরি এই হোটেল তৈরি করা হবে। যে সব জিনিস দিয়ে এই হোটেলটি সেজে উঠবে সেইসব জিনিস যেন পরিবেশের বাড়তি ক্ষতির কারণ না হয়। আধুনিক রেস্তোরাঁর সঙ্গে এই হোটেলে তৈরি হবে ১০টি আধুনিক সুবিধাযুক্ত ঘর। এক নৈসর্গিক প্রকৃতির ছবি উপহার দেবে ডিভিসি এটাই মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, যে সংস্থা এই হোটেল নির্মাণ এর দায়িত্ব পাবে তাদের প্রথম ৩০ বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে। মজুমদার নিবাসের পাশেই এই হোটেল নির্মাণ হতে পারে। জনসংযোগ আধিকারিক অরবিন্দ কুমার সিং এর তরফে জানা গিয়েছে, ‘ডিভিসির বর্তমান চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার হোটেল নির্মাণ এর কাজে ভীষণভাবে উৎসাহী। একাধিকবার তিনি মাইথন ঘুরে দেখেছেন। কী করে মাইথনকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের প্রথম সারিতে তুলে ধরা যায় তা নিয়ে তার ভাবনা ছিল আগেই। আর এই মাইথনে জলের মধ্যে ভাসমান রেস্তোরাঁ ও বিলাসবহুল রিসর্টের ভাবনা তারই বুদ্ধি।

ডিভিসির এক আধিকারিক এর তরফে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর শেষেই মাইথনের বুকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। সেই ভিড় চলে গরমের আগে পর্যন্ত। মাইথনের বিভিন্ন দ্বীপে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ভুটভুটির মালিক মহম্মদ কামরান এর কথায়, ‘এমন হোটেল নির্মাণ হলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে যা এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে ‘।

স্থানীয় এক বাসিন্দা কৌশিক চট্টোপাধ্যায় গুলজার খান জানিয়েছেন, ‘মজুমদার নিবাস জলাধারের ভিতরে অবস্থিত। পর্যটকদের ভিড়ে এই হোটেলে থাকার ঠিকানা হয় না অনেকের। তারা একটু বেশি টাকা ব্যয় করে ওই হোটেলে থাকতে পারবেন।’ মাইথনের দীর্ঘদিনের সমাজকর্মী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মাইথন, পাঞ্চেত, তিলাইয়া, কোনারের মতো ড্যামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের এই জায়গায় টানে। পর্যটনের সুবিধার্থে নানা ভাবে ভাবতে হবে ডিভিসিকে। ডিভিসি মাইথনে রোপওয়ে তৈরির চেষ্টা করলে বছরের অধিকাংশ সময়ে এখানে পর্যটকদের দেখা মিলবে।’ আসানসোলের মেয়র এবং বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় কথায়, ‘তাদের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে রোপওয়ে তৈরির আবেদন করা হয়েছে’।