বই পড়ে ‘আব্বু আম্মি’ ডাক ছেলের, রেগে লাল বাবা, পরে যা করলেন

বিদ্যালয় (School) হল প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গৃহ। বিদ্যালয় থেকে একজন শিশু সঠিক চালচলন, কথাবার্তা এবং বিদ্যা লাভ করে থাকে। আজ সেরকমই একজন শিশুর কথা এই প্রতিবেদনে জানানো হবে, যার শিক্ষায় বাবা রেগে আগুন। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু ঘটনাটি একদম সত্যি। এমনকি তিনি তার সন্তানের পাঠ্যবই বাতিল করতেও তৎপর। ভাবছেন এ আবার কেমন কান্ড?

উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেরাদুনে (Dehradun) মণীশ মিত্তাল (Manish Mittal) নামক এক ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন। তার সন্তানকে তিনি আই.সি.এস.ই. বোর্ডের (ICSE Board) বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন। তার সন্তান এখন দ্বিতীয় শ্রেনীতে পাঠরত। আর সেই দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্য বই-ই হয়ে উঠল মণীশ মিত্তালের রোষের প্রধান উৎস।

ঘটনাটি এমন যে, দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্য বই থেকে তার ছেলে বাবাকে ‘আব্বু’ (Abbu) এবং মাকে ‘আম্মু’ (Ammu) বলা হয় জেনেছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে এসে বারংবার শিশুটি তার বাবাকে আব্বু এবং মাকে আম্মু বলে সম্বোধন করেছে। যার ফলেই মণীশ বাবু বেজায় চটে গেছেন। প্রথমে তিনি তার ছেলেকে শাসন করতে শুরু করলেও পরবর্তীতে জেলা শাসকের কাছে গিয়ে হাজির হন তিনি।

তার মতে এই ধরনের পাঠ্য বই একজন শিশুকে পথভ্রষ্ট করবে। তাদেরকে ধর্মবিরোধী করে তুলবে। তাই তিনি যখন প্রথম আব্বু আম্মু ডাক শুনতে পেয়েছেন তার ছেলের মুখ দিয়ে, তিনি ভীষণই আচমকিত হয়েছেন। তার ছেলেকে তিনি জিজ্ঞাসা করায় জানতে পেরেছেন যে, বিদ্যালয়ে গিয়ে পাঠ্য বই থেকেই এরকম শব্দ তার সন্তান শিখেছে। প্রথম ক্ষেত্রে তিনি খুব একটি বিষয়টি নিয়ে নাক না গলালেও, পরবর্তীতে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসে পৌঁছায়।

এর ফলে তিনি জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন। তাঁর কাছে অনুরোধ করেন যে, এইরকম ধর্ম বিরোধী পাঠ্যবই যেন বিদ্যালয় থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social media)। নেটিজেনদের একাংশ মন্তব্য করেন যে, তিনি অতিরিক্ত ধর্মগোঁড়া, তাই তিনি এরকম প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কেউ আবার বলেন যে, এই সামান্য বিষয়ে এতটা প্রতিক্রিয়া মোটেই ঠিক হয়নি মণীশ বাবুর। আবার কেউ কেউ এই বিষয়ে মণীশ বাবুর সাথে সহমত পোষণ করেন।