কৃষি বিলের পরে কোথায় কোথায় ভোট হয়েছে? জিতেছে কে? ; শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট এখনো প্রকাশিত না হলেও শাসক এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন লড়াইয়ে। আর বর্তমান বঙ্গ রাজনীতির গেরুয়া শিবিরের লড়াইয়ে অন্যতম কাণ্ডারী হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে আসার পরেই তাকে একাধিক জায়গায় সভা করতে দেখা যাচ্ছে এবং প্রতিটি সভায় শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ এবং খোঁচায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।

শনিবার মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়ায় বিজেপির যোগদান মেলায় একইভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। শিল্প, বেকারত্ব, আম্ফান দুর্নীতি, কয়লা দুর্নীতি, গরু পাচার ইত্যাদি বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভাইপো সম্বোধনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করেন। পাশাপাশি সরকারের নীতি এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে বাংলার নামে পশ্চিমবঙ্গে চালানোর তীব্র বিরোধিতা করেন। আর এই মঞ্চে বক্তব্য রাখাকালীনই তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে কৃষকদের কথা এবং কৃষি বিলের কথা।

কৃষকদের কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের কথা বলে জানান, এই প্রকল্প বাংলায় চালু না হওয়ায় ৭৩ লক্ষ বাঙালি কৃষক বছরের ৬ হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বঞ্চনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর কৃষি বিলের কথা বলা হচ্ছে? কৃষি বিলের পরে ভারতে কোথায় কোথায় ভোট হয়েছে? কে জিতেছে? মানুষের রায়ই তো আসল কথা।

শুভেন্দু বলেন, “বলছে কৃষি বিল নাকি সর্বনাশ করে দিয়েছে। আপনি বলুন গণতন্ত্রের দরবারে সব থেকে বড় শক্তি কে? গণদেবতা। ভোটার। জনতা জনার্দন। ২০০৬ সালের পরে আমিও এমএলএ ছিলাম বিরোধী দলের। শাসকরা বলতো ২৩৫, ৩০ এর কথা শুনবো না। আপনারা জানেন সেই দম্ভ ভেঙে দিয়েছিল কে? জনগন।”

পরেই বলেন, “কৃষক বিলের পরে কোথায় কোথায় ভোট হয়েছে? বিহারে ভোট হয়েছে। জিতলো কে? বিজেপি, এনডিএ, আবার কে। মধ্যপ্রদেশের ২৯ জন এমএলএ রিজাইন করে ভোটে লড়লো। তার মধ্যে ২৫ টা কংগ্রেসের এমএলএ ছিল। ২৯ এর মধ্যে ৪ টি বিজেপির ছিল। ২৫ টা সিট বিজেপি জিতলো।”

যোগী আদিত্যনাথ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কত মিথ্যা প্রচার, কুৎসা প্রচার যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে করেছিল। উত্তরপ্রদেশে সাতটা বাই ইলেকশন হলো হাথ্রাসের পরে, ৬ টাতে পদ্মফুল জিতলো। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার। জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে বিজেপি জিতলো। এমনকি কাশ্মীর সে কন্যাকুমারী দেশ হামারি, দেশ হামারি। জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি, ভাজপা জিতেছে। তাই কৃষক দলের পরবর্তী সময়ে ভারতবর্ষে যত নির্বাচন হয়েছে সেই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে।”

যদিও শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার তার পুরাতন দল অর্থাৎ শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও শুভেন্দুকে ছেড়ে কথা বলছেন না। তাকে তারা বারংবার মীরজাফর বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি ১০ বছর সুবিধা ভোগ করার অভিযোগ আনছে।