‘মমতা দি সব জানে’, গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেই জানালেন বালু! কবে মিলবে মুক্তি!

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন (Ration Corruption) দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahaman) গ্রেপ্তার করার পরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটের পরিবর্তে বেরিয়ে আসে অজগর। গ্রেপ্তার হন খোদ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরবর্তীতে চিকিৎসার পর তাকে ইডি হেফাজতে নেওয়া হয়। আর এবার গ্রেপ্তার হওয়ার এক সপ্তাহ পর ফের মুখ খুললেন মন্ত্রী।

নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপি তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছেন। আর এবার এক সপ্তাহ পর মুখ খুলতেই তাকে বলতে শোনা গেল, ‘মমতাদি সব জানেন, মমতাদি সব জানেন’।

হেভি ওয়েট নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার কারণে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। সেইমতো শুক্রবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ঠিক সেই সময় তাকে সাংবাদিকরা নানান প্রশ্ন করেন। সেই সকল প্রশ্নের উত্তরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বলতে শোনা যায়, “মমতাদি সব জানেন, মমতাদি সব জানেন। মমতাদি পুরোটাই জানেন। আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকবো।”

এর পাশাপাশি তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন এবং তিনি যে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে চলেছেন সেই বিষয়েও তিনি একপ্রকার নিশ্চিত। এদিন আত্মবিশ্বাসের সুরে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি মুক্ত। জেনে রেখে দিন আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি। আর চার দিন অপেক্ষা করুন। মমতাদি সব জানেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি।”

এমনিতেও অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর একই সুরে কথা বলেন। এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রশ্ন করা হয়, আপনার সঙ্গে কি দল রয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান অবশ্যই। তবে বালুর পাশে সবসময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থাকতে দেখা গিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালুর শরীর নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবং গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও গত বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, কিছু প্রমাণ হলো না আর চোর বানিয়ে দিল।