করোনায় আগামী এই কয়েকটি দিন থাকতে হবে অতি সতর্ক, এইমস প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর বর্তমানে দেশ অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে টিকাকরণের গতি। সংক্রমণের সংখ্যাও বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে এসবের মাঝেই কোনভাবেই আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি তারা মনে করছেন শিশুদের টিকাকরণের মধ্য দিয়েই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানান, শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। চলতি মাস অথবা আগামী মাসের মধ্যেই ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রের লক্ষ্য রয়েছে, যেসকল কিশোর কিশোরীরা গুরুতর অসুস্থ অথবা যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে, তাদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া প্রত্যেক দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে আসন্ন উৎসবের মরসুম তার সর্তকতা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “এখনো কিন্তু করোনা শেষ হয়ে যায়নি। যে কারণে প্রত্যেক নাগরিককে সতর্ক থাকতে হবে। আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এরপর থেকেই ধীরে ধীরে সংক্রমণের গ্রাফ আরও কমতে থাকবে।”

শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “আমরা জানি শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলেও তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে না। যে কারণে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই সকল কিশোর-কিশোরীদের অগ্রগণ্যতা দেওয়া হবে যাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ টিকার সরবরাহ ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে কম রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে ভারত ধীরে ধীরে বেরিয়ে স্বাভাবিকের দিকে হাঁটলেও আক্রান্তের গ্রাফের ওঠানামা রয়েছেই। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয় তাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোন দিন ২০ হাজারের বেশি, কোনদিন ৩০ হাজারের বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। সুতরাং সর্তকতা অবলম্বন না করলে এই সংখ্যাটা যেকোনো সময়ই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।