Airtel e-SIM: স্মার্টফোন চুরির সন্ধান সহ ৩ সুবিধা! ই-সিম ব্যবহার করলেই কেল্লাফতে

Airtel advises to get e-SIM instead of physical SIM: ভারত বর্তমানে উন্নতির শিখরে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের মধ্যে ভারত নিজের জায়গা করে নিয়েছে। বহু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিষেবা আজকাল এ দেশের সহজেই মেলে। দেশে বেশ কয়েকমাস আগেই চালু হয়েছে e-SIM পরিষেবা। প্রত্যেকটি টেলিকম সংস্থাই নিজেদের ব্যবহারকারীদের e-SIM দিতে প্রস্তুত। তবে দেশের বেশি শতাংশ মানুষ কিন্তু এখনও ফিজ়িক্যাল সিমে অভ্যস্থ। কেনো ব্যবহার করবো এই e-SIM? আপনি এই সিম ফোনে এমবেড করে নিতে পারবেন সহজেই। এছাড়া যারা স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে e-SIM সবথেকে বেশি কার্যকরী। Airtel-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোপাল ভিত্তল পরামর্শ দিচ্ছেন, ফিজ়িক্যাল সিমের পরিবর্তে e-SIMই সবদিক থেকে ভালো। কিন্তু কেন এমনটা বলেছেন তিনি? যদি আপনি e-SIM (Airtel e-SIM) ব্যবহার করেন সবথেকে বড় সুবিধা পাবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া স্মার্টফোন সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন।

e-SIM সম্পর্কে আমাদের প্রথমে একটি স্বচ্ছ ধারণা নিতে হবে। ফিজ়িক্যাল সিম কার্ড হলো এমন একটি জিনিস যা একজনের ফোনের সিম ট্রেতে বসানো হয়। কিন্তু এসব ঝামেলা e-SIM এর ক্ষেত্রে আপনাকে পোহাতে হবে না। e-SIM সরাসরি ফোনে এমবেড করতে পারেন। এই ধরনের সিমে থাকে একটি সফটওয়্যার, যা এক ডিভাইসের eUICC চিপে ইনস্টল করা থাকে। e-SIM ট্রান্সফার করার জন্য আপনাকে কিছু বিশেষ নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে। সম্প্রতি ভারতীয় মার্কেটে বিভিন্ন সংস্থার e-SIM (Airtel e-SIM) আপনি পেয়ে যাবেন।

বর্তমানে কেন এই সিমের গুরুত্ব এত বেশি সে সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এয়ারটেল কাস্টমারদের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে গোপাল ভিত্তল e-SIM (Airtel e-SIM)সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি আলোচনা করেছেন। কেন ফিজ়িক্যাল সিমের তুলনায় এটি ভাল অপশন সেই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন। গোপাল ভিত্তল ইমেলের মাধ্যমে আরো বলেছেন যে, কাস্টমাররা এই ধরনের সিমের মাধ্যমে ঝক্কিহীন কানেক্টিভিটি পাবেন এবং বিভিন্ন ডিভাইসে e-SIM স্যুইচ করা এবং স্থানান্তর করাও খুব সহজ। ফিজ়িক্যাল সিমের ক্ষেত্রে এই ধরনের সুবিধা আপনি পাবেন না।

ধরুন যদি কারও ফোন চুরি হয়ে যায়, চোর সেই ফোনের সিম কোনোভাবেই খুলতে পারবে না। তাহলে চুরি যাওয়া ডিভাইসটি খুব সহজেই ট্র্যাক করা যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তিনি তার সংস্থার গ্রাহকদেরও e-SIM (Airtel e-SIM) ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। গ্রাহকরা চাইলে যে কোন মুহূর্তে Airtel e-SIM ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনার ডিভাইসটিকে e-SIM সাপোর্ট করতে হবে। আপনি যদি এয়ারটেলের গ্রাহক হন এয়ারটেল থ্যাঙ্কস অ্যাপ থেকে ই-সিম সক্রিয় করতে পারেন।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, e-SIM প্রথম জনপ্রিয়তা পেয়েছিল iPhone 12 সিরিজ় থেকে। প্রথমবারের জন্য কোনও iPhone-এ ডুয়াল-সিমের সাপোর্টও দেওয়া হচ্ছিল। iPhone 12 সিরিজ়ের ফোনগুলিতে ন্যানো সিম এবং e-SIM দু’রকম পরিষেবা দিয়েছিল সংস্থা। এই সুবিধা অবশ্য পরবর্তীকালে স্যামসাং, মোটোরলা, ওয়ানপ্লাস-সহ একাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড e-SIM সাপোর্টেড স্মার্টফোন নিয়ে আসে বাজারে।