লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ফেল! এবার ব্যবসা করতে ২৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য জনদরদী বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের সেই সকল প্রকল্পের মধ্যে জনপ্রিয় প্রকল্প হিসাবে ধরা হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar), কন্যাশ্রী (Kanyashree) ইত্যাদি। তবে জানেন কি, এইসব প্রকল্পকে রীতিমত ১০ গোল দিচ্ছে রাজ্য সরকারেরই আরও একটি প্রকল্প। কেননা ঐ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসা করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ব্যবসার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার নাম হলো স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প (SVSKP Scheme)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) উদ্যোগে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সি যেকোনো বেকার যুবক-যুবতী এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই প্রকল্পের আওতায় টাকা নিয়ে ব্যবসা তৈরি করার জন্য সমষ্টিগতভাবে সদস্য যুক্ত করে অংশীদার ব্যবসা করার জন্য সরকারের তরফ থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যারা এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করে ঋণ নিতে চাইছেন তাদের পরিবারের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কম হতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে কৃষি বাদে যে কোন শিল্প অথবা ব্যবসা করা যেতে পারে।

এই ধরনের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এক থেকে চারজন মিলে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাওয়া যায়। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আত্মমর্যাদা। পাঁচজন বা তার বেশি সদস্য মিলিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে তার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। যার নাম আত্মসম্মান। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে বিনিয়োগকারীদের অন্ততপক্ষে পাঁচ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি অনুদান দেওয়া হয়।

আত্মমর্যাদা প্রকল্পের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হয় এবং আত্মসম্মান প্রকল্পের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩.৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। ব্যবসা তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পাঁচ শতাংশ এবং সরকারিভাবে ৩০ শতাংশ দেওয়ার পর বাকি ৬৫ শতাংশ ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়ে থাকে ব্যাংকের ঋণের সুদের হারে। এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভূক্ত করার জন্য এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে কার্ড থাকতে হবে। কার্ড না থাকলে স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তর থেকে বেকারি শংসাপত্র নিতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করার জন্য রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস, পৌরসভা এবং কলকাতা পৌর নিগমের ১৫টি বড়তে আবেদনপত্র পাওয়া যায়।