সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরলো ঘূর্ণিঝড় আমফান, রইল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন : সর্বশক্তি নিয়ে বুধবার বিকালে বাংলার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় আমফান। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় দীঘা ও হাতিয়ার মধ্য দিয়ে সুন্দরবন এলাকা অতিক্রম করেছে। স্থলভাগের আসার পর সামান্য কিছু শক্তির হ্রাস পেলেও অতি শক্তি দিয়েই দাপট দেখাচ্ছে আমফান। এই সব এলাকা অতিক্রমের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। আর ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।

এরপর এই ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যেই তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে, উপড়ে গেছে বড় বড় গাছ। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দীঘায় কোন রকম প্রাণহানীর ঘটনা ঘটলেও অজস্র গাছ ভেঙে পড়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উপকূলবর্তী গ্রামগুলির বেশ কতকগুলি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমফানের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসছে শহর কলকাতা। গত ১১ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৩.২৯ মিলিমিটার।

আবহাওয়া দপ্তরের আগেই পূর্বাভাস ছিল এই ঘূর্ণিঝড় সবথেকে বেশি দাপট দেখাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এই সাত জেলায়। তবে এই জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ইত্যাদি জেলাতেও বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝড় বৃষ্টি। আমফানের দাপটে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর।

পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন হাওড়ার লক্ষ্মী কুমারী নামে ১৩ বছরের এক কিশোরী। হাওড়ার রাজকিশোরী চৌধুরী লেনে তার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় মৃত ব্যক্তি হলেন মিনখার রাস্তায় নুরজাহান বেহারা। আর তৃতীয় মৃত ব্যক্তি বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ২০ বছর বয়সী মোহান্ত দাস নামে এক যুবক।