অণ্ডাল-সাঁইথিয়া নতুন মেমু ট্রেন চলাচলে মিলেছে সম্মতি! আসানসোলের বৈঠকে আরও দাবি ওঠে

সময়ের পরিবর্তনকে সাক্ষী রেখে যাত্রীদের একের পর এক উপহার দিয়ে যাচ্ছে রেল। যাত্রী পরিষেবা আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই লক্ষেই কাজ করে চলেছে রেল। গত ৩০শে মঙ্গলবার পূর্ব রেলের তরফে আসানসোলের বেসরকারি হলে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে সভাপতিত্বের দায়িত্বে ছিলেন আসানসোলের এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্করের তরফে ওই নির্দিষ্ট এলাকার এমপি ও কমিটির সদস্যদের রেলের সাফল্য ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে আসানসোলের এমপি শত্রুঘ্ন সিনহার তরফে দাবি করা হয়, স্থানীয় যাত্রীদের চাহিদা ও দাবি পূরণের লক্ষে রেলকে আরও বেশি জোর দিতে হবে। ট্রেনে যে সকল মহিলা যাত্রী আসেন তাদের সুবিধার্থে ফিডিং রুমের ব্যবস্থার পাশাপাশি বয়স্ক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আরও বেশি করে এক্সেলেটর নির্মাণের ব্যবস্থা করার দাবি ওঠে তার গলায়। বৈঠকে বীরভূমের এমপি শতাব্দী রায়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন রাধাবল্লভ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: মুরকংসেলেক-পাসিঘাট প্রকল্প এগিয়ে চলেছে দ্রুততার সঙ্গে! উত্তর পূর্ব রেলের বিরাট সাফল্য

তার তরফে জানানো হয়, এমপির তরফে অণ্ডাল-সাঁইথিয়া রুটের জন্য একটি মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উঠেছিল। যদিও সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে রেলের কর্তারা। খুব তাড়াতাড়ি তা যাত্রা শুরু করবে। অন্যদিকে, সিউড়ি শিয়ালদহ মেমু ইএমইউ ট্রেনে এলএইচবি কোচ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আরও অতিরিক্ত এসি কোচ ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসের জন্য ও দুবরাজপুর স্টেশনের উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত এর তরফে জানা গিয়েছে, রেলের তরফে খুব ইতিবাচক পরিকল্পনা করা হচ্ছে নতুন মেমু ট্রেন চলাচলের জন্য।

আসলে,পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের বাসিন্দাদের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ লাইফ লাইন হল অণ্ডাল-সাইথিয়া রেল লা‌ইনটি। অণ্ডাল হয়ে কাজোড়া, উখরা, পাণ্ডবেশ্বর পেরিয়ে ট্রেন ঢোকে বীরভূমে। ওদিকেও দুবরাজপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া এই ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রোজ নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রী সকলেই এই পথে যাতায়াতের সাক্ষী। এই রুটে মোট দশটি মেমু ট্রেন চালানো হয়। অণ্ডাল থেকে একটি মেমু ট্রেন সকাল সাড়ে আটটায় রওনা দেয়।

আবার দুপুর দুটোর সময় মেমু ট্রেনটি রওনা দেয়। তার মাঝেই নতুন একটি এই মেমু ট্রেন যাতে চালু করা হয় সেই দাবিই বহুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে নিত্য যাত্রীদের গলায়। এবার বাস্তবতার ছোঁয়া পেতে চলেছে সেই দাবিই। এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এমপি খলিলুর রহমান, গিরিধারী যাদব, খগেন মুর্মু, সরফরাজ আহমেদ, নলিন সোরেন।

রেলের শীর্ষ আধিকারিক, শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাকিদের উপস্থিতিতে রেল দুই ডিভিশনে কী কী কাজ করে এসেছে তা আলোচনা করা হয়। ওই আলোচনার মাঝেই খগেন মুর্মুর পক্ষ থেকে গৌড় এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচের দাবি উঠে আসে। অন্যদিকে ভাগলপুর, জামালপুর থেকে দিল্লি মুম্বই ও বেঙ্গালুরুর জন্য বাড়তি ট্রেনের দাবি শোনা যায় এমপি গিরিধারী যাদব এর গলায়। আবার বিদ্যাসাগর স্টেশনে হাওড়া-পাটনা জনশতাব্দী ট্রেনের স্টপেজের দাবি শোনা যায় নলিন সোরেনের গলায়।