কালো টাকা সাদা করার ফন্দি! কত টাকায় কোটি টাকার লটারি কিনেছিলেন অনুব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর শুরুর দিকে জানা যায় অনুব্রত মণ্ডল লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন। যেদিন থেকে এই খবর সামনে আসে সেদিন থেকেই রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই রহস্য উদঘাটনে হাত ধুয়ে নামেন সিবিআই আধিকারিকরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই সকল রহস্য এক প্রকার ফাঁসই হয়ে গেল।

সিবিআই আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার কোটি টাকার লটারির আসল মালিকের বাড়িতে হানা দেন। আসল মালিক হলেন নানুরের বড় শিমুলিয়া গ্রামের নুর আলী। তিনি এবং তার বাবা সিবিআই আধিকারিক ও সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করে নেন তারা কোটি টাকার লটারির টিকিট জিতে ছিলেন। তবে সেই টিকিট নাকি ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকায় তৃণমূল নেতারা হুমকি দিয়ে ছিনিয়ে নেন।

সিবিআই আধিকারিকরা নুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেন এক টিকিট বিক্রেতা বাপি গাঙ্গুলিকে। তিনি পরে সাংবাদিকদের সামনে কত টাকায় অনুব্রত মণ্ডল সেই লটারির টিকিট কিনেছিলেন তা ফাঁস করে দেন। তাকে মূলত অনুব্রত মণ্ডল এবং তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট যাচাই করার জন্য বাড়িতে ডেকেছিলেন।

বাপি গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল অথবা বিশ্বজ্যোতি বন্দোপাধ্যায় লটারি টিকিট সম্পর্কে তেমন কিছু বোঝেন না এবং সেই জন্যই তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই লটারি টিকিট আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য। তিনি সেই টিকিট যাচাই করে দেন এবং নুর আলীর থেকে অনুব্রত মণ্ডল ৮৩ লক্ষ টাকা দিয়ে সেই টিকিট কিনে নেন।

এরপরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল কালো টাকা সাদা করার জন্যই এই লটারির টিকিট নুর আলীর থেকে কিনে নিজের নামে ক্লেম করেন!

তবে প্রশ্ন হল কেন নুর আলী এক কোটি টাকার লটারির টিকিট ৮৩ লক্ষ টাকায় অনুব্রত মণ্ডলকে বিক্রি করলেন? কারণ কোটি টাকা জিতলেও বিজেতা সমস্ত ট্যাক্স বাদ দিয়ে ৭৬ লক্ষ টাকা মত পেয়ে থাকেন। সেই জায়গায় তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে ৮৩ লক্ষ টাকায় সেই টিকিট বিক্রি করায় তার বাড়তি সাত লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে। যদিও নুর আলী দাবি করেছেন, তাকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল নেতারা এই লটারির টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন আর পরিবর্তে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন।