রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে নয়া মোড়, অনুব্রতকে লেখা আশীষ ব্যানার্জীর চিঠি ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহের সোমবার ঘটে রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড। দেখতে দেখতে ১১ দিন পার করতে চলল এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত ভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তবে এই ১১ দিনের মাথাতেই এই ঘটনায় এলো নয়া মোড়।

এই বগটুই কাণ্ডের ঘটনায় যাকে মূল চক্রী হিসাবে এখনো পর্যন্ত মনে করা হয়েছে, যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেই আনারুল হোসেনকে নিয়ে লেখা একটি চিঠি ফাঁস হল বৃহস্পতিবার। এই চিঠিটি রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি তাকে লিখেছিলেন বলে দাবি করেছেন খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই চিঠিতে কি লেখা রয়েছে?

চিঠির মূল বিষয়বস্তু হলো আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতি পদে বহাল রাখা তাকে ব্লক সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছিল আশীষ ব্যানার্জির অনুরোধেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তিনি নাকি আগেই আনারুল হোসেনকে এলাকার ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশীষ ব্যানার্জি অনুব্রত মণ্ডলকে অনুরোধ করে চিঠি লেখেন, যাতে করে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত আনারুল হোসেনকেই ব্লক সভাপতি হিসাবে রাখা হয়। অনুব্রত মণ্ডল বর্ষিয়ান নেতা আশীষ ব্যানার্জির এই অনুরোধ রাখেন এবং ব্লক সভাপতি হিসাবে আনারুল হোসেনকে রাখা হয় বলে দাবি করেছেন।

আশীষ ব্যানার্জি অনুব্রত মণ্ডলকে এই চিঠি লিখেছিলেন ২০২১ সালের ১০ জুন। যে চিঠিটি লেখা হয় ইংরেজিতে। সেখানে লেখা রয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত আনারুল হোসেনকে ব্লক সভাপতির পদে রাখা হোক। তাকে পরিবর্তন করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা যেন বহাল না হয়। এই চিঠিতে যিনি এমন অনুরোধ করেছেন তিনি হলেন আশীষ ব্যানার্জি। চিঠিতে তার সই-ও রয়েছে। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এই চিঠির সত্যতা স্বীকার করেছেন।

চিঠির সত্যতার স্বীকার করার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এদিন অবাক হয়ে যান এমন চিঠি ফাঁস নিয়ে। এই বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন করেন, ‘ভোটের রেজাল্ট খারাপ, মানুষের কমপ্লেন আছে বলেই….। তা এই চিঠিটা আপনাদের কাছে এলো কি করে অবাক হয়ে যাচ্ছি! গোপন চিঠিটা আপনাদের হাতে কি করে বেরিয়ে এলো! তখন আশিস ব্যানার্জি বলে আমি মুচলেকা লিখে দিচ্ছি পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত রাখ।’