Fish: ভুলেও এই আটটি মাছ খাবেন না! বাঙালি বাড়িতে প্রায়ই আসে কিন্তু

কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি বাড়িতে মাছ ছাড়া একটি দিনও চলে না। মাছের বাজারে গেলেই ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে চলে দর কষাকষি। বাঙালির ভাতের পাতে মাছ ছাড়া অন্য কিছু যেন মুখে রূচতে চায় না। পারশের লাল ঝাল থেকে কাচা লঙ্কা চিরে কাঁটাপোনার পাতলা ঝোল একবারে যেন অমৃত বাঙালির পাতে। আর বঙ্গে বর্ষা এলে তো কথাই নেই, পেটে ডিম ভরা ইলিশের সাথে দু হাতা ভাত বেশি খায় বাঙালি।

মাছে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। ডাক্তারদের তরফেও চোখ ভালো রাখতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ভালো পাকা মাছ মানেই প্রোটিনের সম্ভার তা মোটেই নয়। এমন অনেক মাছ রয়েছে যা বাঙালি বাড়িতে প্রায়শই খাওয়া হয় তবে জানলে অবাক হবেন স্বাস্থ্যের পক্ষে এই মাছ খাওয়া ভালো নয়। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের এই মাছ কম খাওয়াই ভালো।বাজারে এমন কিছু মাছ আছে যা খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলিতে থাকা বাড়তি হরমোন, পারদ শরীরে উপকারের বদলে অপকার বেশি করায়। তাই এই মাছ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

আরও পড়ুন: RBI: আরবিআই এর ডেপুটি গভর্নরের পদে নতুন মহিলা মুখ! কী তার পরিচয় জানেন?

তালিকার প্রথমেই রয়েছে, মাগুর মাছের নাম। মাগুর মাছের ঝোল ছোট বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও বাজারে গেলে লোভ করে বড় মাগুর কিনবেন না। সবসময় ছোট মাগুর কেনার চেষ্টা করুন। কারণ মাগুর মাছকে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তার শরীরে নানান হরমোন প্রবেশ করানো হয়, যা মানুষের শরীরে গেলে রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে।

তালিকার দ্বিতীয়তে নাম রয়েছে ম্যাকারেল মাছের। এই মাছে থাকে ভরপুর ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি। তাছাড়াও থাকে পারদ, তাই এই মাছ প্রতিদিন খেলে পেটে পারদ জমার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে ভবিষ্যতে একাধিক রোগের বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।

তৃতীয়তে রয়েছে টুনা মাছ। এই মাছ মূলত বিদেশের। এই মাছ খেতে সুস্বাদু হলেও এই মাছে থাকে ভরপুর ভিটামিন বি১২,বি৩, বি১, বি৬ এবং ভিটামিন ডি এর মতো মাল্টিভিটামিন। এই মাছে থাকা পারদ শরীরের ক্ষতি করে। এছাড়া টুনা মাছ যেখানে চাষ করা হয় সেখানে মাছের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হরমোন প্রবেশ করানো হয়। যা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকরক। তাই এই মাছ এড়িয়ে চলাই ভাল।

চতুর্থতে নাম রয়েছে সার্ডিন মাছের। যা খয়রা বা চন্দনা মাছ নামেও পরিচিত। এই মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।একইসাথে পারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

পঞ্চমতে নাম রয়েছে তেলাপিয়া মাছের। তেলাপিয়া মাছের ঝোল ঝাল খেতে বাঙালি ভালবাসলেও এই মাছ মূলত খামারে চাষ করা হয়। হাঁস ও মুরগির বিষ্ঠা খাওয়ানো হয় এই মাছেদের, যার ফলে বাড়তি রোগ জীবাণু এই মাছের শরীরে ঢোকে এবং মানুষের শরীরে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

ষষ্ঠতে নাম রয়েছে পাকাঁল মাছের। অধিকাংশ সময়ে এই মাছগুলি এমন জায়গায় থাকে যেখানে তারা শিল্প ও কৃষি বর্জ্য খেয়ে বেড়ে ওঠে। যার ফল স্বরূপ এই মাছের দেহে প্রবেশ করে পারদের মতো ক্ষতিকারক উপাদান। তাই এই মাছ খাওয়া ছেড়ে দেওয়াই ভাল।

সপ্তমে নাম রয়েছে পাঙ্গাস মাছের। এই মাছ অত্যাধিক খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মতো মারন রোগের। কারণ এই মাছের স্বাদ ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে খামারে ক্ষতিকারক কীটনাশক সহ রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই মাছ মুখে না তোলাই মঙ্গলজনক।

শেষে নাম রয়েছে বাসা মাছের। যেই মাছ ভেটকির মতো খেতে হলেও এই মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। এই মাছ হাঁপানি ও কোলেস্টেরলের রোগীদের খাওয়া একেবারেই ভালো নয়।