ঝড়ের গতি, কিন্তু ইঞ্জিন নেই! কিভাবে চলে বন্দে ভারত!

বাংলায় যাত্রা শুরু করার কয়েক মাস পরেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ অন্যথা না হলে খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় বন্ধে ভারত পেতে চলেছে বাংলা। সম্ভবত হাওড়া পাটনা রুটে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করতে চলেছে। এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যেমন পরিষেবার দিক থেকে সকলকে টেক্কা দেয়, ঠিক তেমনভাবেই এই ট্রেনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল বন্দে ভারতের গতি। তবে বন্দে ভারতে আলাদা করে কোন ইঞ্জিন নেই। তাহলে কিভাবে চলাচল করে এই ট্রেন? দেব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস অনেকের মুখে ট্রেন ১৮ নামেও পরিচিত। এই ট্রেন প্রকল্প প্রাথমিকভাবে নাম দেওয়া হয়েছিল T18। আঠারো মাসে তৈরি করা হয়েছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সম্পূর্ণ মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ এসি কোচ রয়েছে ট্রেন জুড়ে। রয়েছে চেয়ার-কার এবং এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর দরজাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে ঠিক মেট্রোর মতো তাছাড়া একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে এই ট্রেনে। কিন্তু নেই আলাদা করে কোনও ইঞ্জিন।

দেশে একের পর এক সূচনা হচ্ছে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের৷ এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন যাত্রীদেরও খুব পছন্দ হচ্ছে। অতিসহজে কম সময়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে চলে যেতে পারছেন যাত্রীরা৷ পরিষেবা নিয়েও কোনও কথা হবে না৷ এই ট্রেনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এই ট্রেনের স্পিড। এছাড়াও, বন্দে ভারত সম্পর্কিত এমন অনেক কথাই রয়েছে, যা জানলে আপনি চমকে যাবেন৷

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় দরজা এবং এসি কোচ রয়েছে। ট্রেনটিতে ১৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে। ইকোনমি এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের বিকল্পও রয়েছে। তবে এক্সিকিউটিভ ক্লাসের বিশেষত্ব হল এর রিভলফভিং চেয়ার৷ এই ট্রেনের এক্সিকিউটিভ ক্লাসে একটি রিভলভিং চেয়ার আছে যা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। যদিও নিরাপত্তার কারণে বর্তমানে এটি ঘণ্টা প্রতি ১৩০ কিমি গতিবেগে চালানো হয়। সম্প্রতি এই ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটারেও দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

তবে সবচেয়ে মজার হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতের প্রথম ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সব ট্রেনেই একটি পৃথক ইঞ্জিন কোচ থাকে৷ কিন্তু ট্রেন 18-এ বুলেট বা মেট্রো ট্রেনের মতো ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন বা একীকৃত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, যা কোচের সঙ্গে লাগানো থাকে। লোকোমোটিভ ছাড়া ইঞ্জিনবিহীন বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর জন্য যে সিস্টেম প্রয়োজন তা বন্দে ভারত-এর বগিগুলিতেই লাগানো রয়েছে। তবে এটি চালানোর জন্য ট্রেনে সবসময় দুই বা তার বেশি লোকো পায়লট উপস্থিত থাকেন।