সিমকার্ড বিক্রির নিয়মে বদল! নতুন না মানলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষের হাতেই পৌঁছে গিয়েছে মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে জরুরী যা তা হল সিম কার্ড (Sim Card)। কিন্তু এবার এই সিম কার্ড কেনার নিয়মে কেন্দ্রের তরফ থেকে বিরাট বদল আনা হলো। আর সেই নিয়ম অনুযায়ী আর দোকানে গেলাম, ডকুমেন্ট অথবা বায়োমেট্রিক দিলাম, সিম কার্ড নিয়ে বাড়ি এলাম, এসবের দিন শেষ। কেননা এবার যে নিয়ম আনা হচ্ছে তাতে পাসপোর্ট পাওয়ার মতো সিম কার্ড পেতেও গ্রাহকদের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হবে।

একটা সময় ছিল যখন সিম কার্ড কেনাবেচার ক্ষেত্রে সেই রকম কোন কড়া নিয়ম জারি ছিল না। প্রথমদিকে দোকানে গিয়ে নিজেদের অথবা বাড়ির কারো ডকুমেন্ট জমা দিলেই সিম কার্ড দিয়ে দেওয়া হতো। ধাপে ধাপে বিভিন্ন জায়গায় নানান ফাঁকফোকর খুঁজে পাওয়ার পর নিয়মে কড়াকড়ি আনা হয়। ধাপে ধাপে নিয়ম চালু করা হয়, যার ডকুমেন্ট তাকেই আসতে হবে এবং তার সম্মতিক্রমে সিম কার্ড দিতে হবে। পরবর্তীতে যে নিয়ম জারি করা হয় তাতে যিনি সিম কার্ড নিচ্ছেন তাকে নিজের লাইভ ফটো এবং বায়োমেট্রিক দিতে হবে। তবে এরপরেও সব ক্ষেত্রে জালিয়াতি রোধ না হওয়াই এবার একেবারে নতুন পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

মূলত কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি সঞ্চার সাথী নামে একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সেই পোর্টাল চালু হওয়ার পর ৬৭ হাজার সিম কার্ড ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ৫২ লক্ষ জাল মোবাইল সংযোগ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি যাওয়া ৭ লক্ষ মোবাইল ফোন ব্লক করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এবার সিম কার্ড বিক্রির ক্ষেত্রে পুলিশি যাচাই বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র।

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক এবং পুলিশি যাচাই না হলে আর সিম কার্ড বিক্রি করা যাবে না। এছাড়াও একই সময়ে বিপুল পরিমাণে সিম কার্ড বিক্রি করার ক্ষেত্রে লাগাম টানা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, “আমরা সিম কার্ড ডিলারদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করছি। এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া, সিম ব্যবসায়ীদের এবং সিম কিনছেন যাঁরা, তাঁদের কেওয়াইসি করাতে হবে।”

কেন্দ্রের কথা অনুযায়ী, সিম কার্ড বিক্রি করার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম রয়েছে সেই সকল নিয়ম দায় সারা ভাবে সেরে থাকেন সিম কার্ড বিক্রেতারা। কিন্তু এবার আর এসব চলবে না। বায়োমেট্রিক যাচাই এবং পুলিশি যাচাই করার পরই সিম কার্ড বিক্রি করা যাবে। পুলিশ এবং টেলিকম শিল্পের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।