Birbhum: দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে সোমবার থেকে নতুন একটি ট্রেনের পথচলা শুরু হল বীরভূমে। যে রুটে এই ট্রেনটি চালু হল সেটি হল কাটোয়া আহমেদপুর রুট। এই রুটে ট্রেন ছিল না এমন নয়, তবে যে কয়টি ট্রেন চলতো তার সব কটি সকালের দিকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন আহমেদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। আর তাদের সেই দীর্ঘ আন্দোলন অবশেষে বাস্তবের রূপ পেল সোমবার। কারণ সোমবার থেকেই বিকালের দিকে নতুন একটি ইএমইউ ট্রেন পথচলা শুরু করল।
নতুন যে ট্রেনটির পথচলা শুরু হয়েছে সেটি বর্ধমানের কাটোয়া থেকে বিকেল তিনটে পঞ্চাশ মিনিটে ছাড়বে এবং বীরভুমের (Birbhum) আহমেদপুর পৌছাবে বিকেল পাঁচটা 30 মিনিটে। বিকালের দিকে এমন ট্রেন পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সংগঠনের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে রেলমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী এবং জেনারেল ম্যানেজার drm সহ অন্যান্য রেল কর্মীদের।
তবে এসবের মধ্যেও কিন্তু আহমেদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত দাবি দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। কেননা তারা সকাল ও সন্ধ্যের দিকে কলকাতা যাওয়া আসার ট্রেনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন। তাদের এই দাবি পূরণ হলেই অন্ততপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ মানুষের বসবাসকারী ওই এলাকার চারটি বিধানসভার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
এছাড়াও এই রুটে রামপুরহাট হাওড়া অথবা রামপুরহাট শিয়ালদা ট্রেন চলাচল শুরু হলে একসঙ্গে বীরভূমের (Birbhum) অনেকগুলি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন হবে। একদিকে যেমন লাভপুরের ফুল্লরা দেবী মন্দিরে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আগমন অনেক সহজ হবে ঠিক সেই রকমই আবার মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের নবদ্বীপ মায়াপুর যাওয়াও অনেকটাই সহজ হবে। এছাড়াও তারাপীঠ সহ ফুল্লরা মন্দির, নবদ্বীপ ধাম একসঙ্গে জুড়ে যাবে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই আহমেদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়নের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রেল কি পদক্ষেপ নেয়।