‘সরকার ৫ বছর থাকবে তো!’ সন্দেহ প্রকাশ বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতির

হিমাদ্রি মণ্ডল : বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়িতে বীরভূম জেলা বিজেপির তরফ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করার পাশাপাশি সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় সদ্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে আসা তৃণমূল সরকারকে নিয়ে। মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “এই লড়াইয়ে সফলতা আশা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। বেশিদিন আপনাদের অপেক্ষাও করতে হবে না। এই সরকার পাঁচ বছর পূরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন তাকে বলতে শোনা যায়, “যারা গুন্ডামি মস্তানি করে তাদের কেবল একটা কথাই বলবো, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আর সময় পরিবর্তনশীল। সময় কারো সমান যায় না। তাই সময় যখন আসবে মনে রাখবেন এই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আর ফর্মূলা কিন্তু ব্যবহার হবে। পেটে খেলে পিঠে সয় এই ধর্মটা যেন বুঝে নেওয়া হয়।”

অন্যদিকে বিজেপির কোনো রাজ্য নেতা বীরভূমে আসবেন আর অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ উঠবে না এমনটা হতে পারে না। এদিন নাম না করেই অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে টেনে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যার মাথায় অক্সিজেন পৌঁছায় না ঠিকমত তার ভয়ে ঘরে ঢুকে যাবেন? আপনারা সবাই একত্রিত হয়ে লড়াই করুন। আপনারাই পারবেন ওর (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল) মাথায় ঠিকমত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে।”

এর পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রচুর মামলা হয়েছে। মামলা যখন খেতেই হবে তখন মার খেয়ে মামলা খাবার থেকে মার দিয়ে মামলা খাওয়া অনেক ভালো। পার্টি আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। পার্টি আপনাদের জামিন করাবে। যতদূর কথা বলতে হয় দিল্লী পর্যন্ত কথা বলা হবে। উকিলদের জন্য যা ব্যবস্থা করতে হয় আমরা ব্যবস্থা করব।”

সুকান্ত মজুমদারের এদিনের মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এত বড় পাগল। এত মানুষকে খালে ফেলে দেবে। যেখানে সব রাজ্যে বিজেপি যেতে বসেছে সেই জায়গায় কি করে বলে এইসব কথা। এর কথা যে বিশ্বাস করবে, যে যাবে সে অকালে মরবে। আর মারতে গেলে তো হাতের দরকার হয়। হাতের কব্জিটা যদি ভেঙে যায়।”