দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র! করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনায় বড় সাফল্য পেল সিবিআই! হাতে এলো তিনজন

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর জুন মাসের ২ তারিখ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)। শুধু করমণ্ডল নয়, এর পাশাপাশি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় পড়তে হয়, যশবন্তপুর হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসকে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৮ জন এবং আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শোক নেমে আসে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় রেল, কারণ খুঁজে বের করতে ময়দানে নামে সিবিআই (CBI)।

জুন মাসের ২ তারিখ এই দুর্ঘটনার পর তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআই পাওয়ার পর তারা তাদের তরফ থেকে কারণ খুঁজতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্ত চালাতে গিয়ে অবশেষে ১০ দিন পর বড়সড় সাফল্য পেলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এলেন তিনজন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তরফ থেকে তদন্তের জন্য ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

সিবিআই আধিকারিকদের তরফ থেকে যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই রেল কর্মী। তিনজন রেল কর্মী এই দুর্ঘটনার তদন্ত চলাকালীন সিবিআইয়ের হাতে আসার ফলে প্রশ্ন উঠছে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি জুন মাসের ২ তারিখের মর্মান্তিক ওই রেল দুর্ঘটনা কি কেবলই দুর্ঘটনা ছিল নাকি ছিল কোন ষড়যন্ত্র?

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে যে তিনজন রেল কর্মীকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এবং আরও দুজন। স্টেশন মাস্টার ছাড়া বাকি দুজনের মধ্যে একজন রয়েছেন রেল টেকনিশিয়ান। এই তিনজনকে আটক করার পর তাদের কোন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং দুর্ঘটনার দিন কিভাবে এমনটা ঘটলো তা জিজ্ঞাসা বাদ করে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

তবে সিবিআই আধিকারিকরা তিনজন রেল কর্মীকে আটক করলেও এখনো পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ প্রকাশ করেন নি। তদন্তের খাতিরে তারা প্রথম থেকেই মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি এদিন তিনজন রেল কর্মী তাদের হাতে আটক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে সকল প্রশ্ন উঠছিল সেগুলি আরও জোরালো হতে শুরু করল। এখন অপেক্ষা দুর্ঘটনার কারণ কি জানাই সিবিআই তার দিকে।