IPL 2025: চলতি বছর ২২শে মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত আইপিএল। অর্থাৎ অপেক্ষার মাত্র সামান্য কিছুদিন। এই বছর আইপিএল শুরু হওয়ার আগে কি সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার? ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগেই বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, আসন্ন IPL মরসুমের আগেই ভারত সরকার জারি করল বিরাট নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই মোটা অংকের ক্ষতি হচ্ছে বিসিসিআইয়ের।
ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই বহু প্রতীক্ষিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2025) ১৮তম সংস্করণের জন্য অধির আগ্রহে বসে রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বছরের এই সময়টা অর্থাৎ মার্চ মাসের সময়টা লিগ ক্রিকেট থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। ২০২৫ সালেও সেই উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই আইপিএল ২০২৫ আয়োজনের পথে হেঁটেছে বিসিসিআই। কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাদের রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে ভারতীয় বোর্ডের কর্তাদের।
সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানা গেছে যে, যখন বছরের এই সময়টা আইপিএল চলে তখন একাধিক সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর অর্থ ঘরে আসে বিসিসিআই-র। শুধু তাই নয়, এই বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক নেশাজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন। মোদি সরকার সেই ধরনের বিজ্ঞাপনকেই এ বছর নিশানা করেছে। আইপিএল থেকে আয়ের উৎসতে আঘাত পড়েছে বিসিসিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় সরকার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এই ধরনের তামাক ও অ্যালকোহল জাতীয় বিজ্ঞাপনের উপর। আইপিএল শুরু হওয়ার ১১ দিন আগেই এই ধরনের সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সরকারের নির্দেশে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোনোভাবেই আসন্ন আইপিএল (IPL 2025) মরসুম চলাকালীন ম্যাচের লাইভ সম্প্রচার কিংবা মাঠের কোথাও তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবে না। আর্থিক উপার্জনের যে সুবর্ণ সুযোগ পেত বিসিসিআই তা এবার থেকে আর সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, আসন্ন মরসুমে যদি নেশজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের যে মোটা অংকের টাকার ক্ষতি হবে তা কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আইপিএল -এর প্রাক্কালে দলগুলির ওপর কড়া নির্দেশিকা জারি করার মাঝেই ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞায় রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেছে শুধুমাত্র বিসিসিআই নয় বিভিন্ন আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলিও।