সংক্রমণে লাগাম টানতে পুজো নিয়ে নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের লাগামছাড়া মূর্তি দেখেছে দেশের বাসিন্দারা। তবে সেই লাগামছাড়া সংক্রমণ বর্তমানে কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। আর যখন সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী তখন সামনেই রয়েছে দূর্গা পুজা সহ দেশজুড়ে একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজো পার্বণ। আর এই পূজো পার্বণের জেরে যাতে পুনরায় লাগামছাড়া সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে আগাম নির্দেশিকা জারি করা হলো। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কিভাবে পূজো পার্বণ করা হবে এবং এ সকল পূজা-পার্বণে অংশগ্রহণ করা যাবে।

১) কনটেইনমেন্ট জোন এলাকায় কোন পুজো করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে চলতি বছর কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা যেন বাড়ি থেকেই উৎসবে শামিল হন। অর্থাৎ তাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

২) যে সকল জায়গায় পূজো পার্বণ অথবা অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সেই সকল জায়গার চারদিক ঘিরে বেশি সংখ্যক প্রবেশ এবং বাহির পথ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই সকল জায়গায় বাতাস চলাচলের দিকটিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

৩) প্রবেশপথ এবং অন্যান্য জায়গা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। এর পাশাপাশি থার্মাল স্ক্রীনিংয়ের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে যেন প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় সেদিকে নজর রাখতে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।

৪) মন্দির অথবা ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করার আগে বাইরে জুতো খুলে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমা এবং পবিত্র গ্রন্থ ছোঁয়া যাবে না।

৬) মন্ডপ হোক অথবা মন্ডপের বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

৭) বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা এবং ছোটদের উৎসবের দিনগুলিতে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। আবেগে পরে যেন কেউ কোনো ঝুঁকি নানান সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।

৮) কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গার স্যানিটাইজ করার কথা বলা হয়েছে।

৯) এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আরও কিছু স্বাস্থ্যবিধির প্রয়োগ করতে পারেন তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী।

প্রসঙ্গত, ভারতে যখন দিনদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ঠিক সেসময় কেরল সংক্রমণ কিভাবে ঠেকাতে হয় তা দেখিয়েছিল। কিন্তু কেরলে ওনাম উৎসবের একমাস পরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চার গুণ। আর এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যেন উৎসবের আবেগে পরে মানুষ করোনা পরিস্থিতি ভুলে না যান। আর এমনটা হলে পশ্চিমবঙ্গেও দূর্গা পূজার পর কেরলের মতো পরিস্থিতি হতে পারে।