Sainik School: শুধু সেনাদের সন্তানরাই নয়, সেনা স্কুলে ভর্তি হতে পারে সাধারণরাও! জানুন পদ্ধতি

Apart from the children of soldiers, children of common people can also get admission in Sainik School: সরকারি স্কুল গুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা স্কুলগুলির মধ্যে সেনা স্কুল (Sainik School) অন্যতম। অনেক বাবা-মাই তার সন্তানকে এই স্কুলে ভর্তি করাতে চান। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে সেনা স্কুলে শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর সন্তানেরাই পড়াশোনা করতে পারে। কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণরূপে সঠিক নয়। সেনা পরিবারের বাইরে অর্থাৎ সাধারণ পরিবারের সন্তানও এই স্কুলে ভর্তি হতে পারে শুধুমাত্র একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে। এই প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের জানাবো সেনা স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

আর কয়েক দিনের মধ্যেই সেনা স্কুলের (Sainik School) ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে এই স্কুলগুলিতে ভর্তি হতে পারে যে কোন সাধারণ পরিবারের সন্তান। অর্থাৎ, সেনা স্কুলে ভর্তি হতে গেলে এনটিএ বা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত অল ইন্ডিয়া সৈনিক স্কুল এন্ট্রান্স এক্সামে উত্তীর্ণ হতেই হবে পড়ুয়াকে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এন্ট্রান্স এক্সাম নেওয়া হয়ে গিয়েছে খুব শীঘ্রই এন্টিয়ে সেই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবে এবং সেই ফলের উপর ভিত্তি করেই সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সেনা স্কুলগুলিতে (Sainik School) শিক্ষার্থী দের ভর্তি করা হবে।

বর্তমানে ভারতবর্ষে মোট ৩৩ টি সেনা স্কুল (Sainik School) রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলির সম্পূর্ণ দায়ভার দেওয়া রয়েছে সৈনিক স্কুল সোসাইটি নামক একটি সমিতির উপর। প্রতিবছর এই স্কুলগুলির ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেতন নির্ধারণ সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয় এই সমিতি।

আরও পড়ুন 👉 Bollywood Actress Educational Qualification: কেউ সিক্স ফেল, কেউ স্কুলছুট, জানুন অভিনয়ে তুখোড় এই ৬ বলি নায়িকার বিদ্যের দৌড়

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই স্কুলে আপনার সন্তানকে ভর্তি করার জন্য বছরে কত টাকা বেতন বা অন্যান্য খাতে আপনাকে দিতে হবে। বছরে বেতন বাবদ 96,৬৩১ টাকা, স্কুলের পোশাক ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১০০০০ টাকা, খাবার খরচ বাবদ ২৯,৯৬৮ টাকা, হাত খরচ বা আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ৩০০০ টাকা ধার্য করা রয়েছে স্কুলগুলির তরফ থেকে। এছাড়া সিকিউরিটি মানি বাবদ ৩০০০ টাকা করে ধার্য করা হয় যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ফেরত পাওয়া সম্ভব। এই সিকিউরিটি মানির ক্ষেত্রে তপশিলি জাতিরা কিছু ছাড় পেয়ে থাকেন তাদের জমা করতে হয় মাত্র ১৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় অসংরক্ষিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১,৪২,৫৯৯ টাকা আর তপশিলি জাতিদের ক্ষেত্রে ১,৪১,০৯৯ টাকা।

সৈনিক স্কুলের (Sainik School) বেতন দুটি ভাগে পরিশোধ করা যায়। শিক্ষার্থী ভর্তি হবার সময় এক লাখ টাকা জমা দিতে হয় এবং পরবর্তী ছ মাসের মধ্যে বাকি বেতন পরিশোধ করতে হয়। প্রতিবছর পঠন পাঠানোর জন্য ধার্য করা বেতন 10 শতাংশ করে বাড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাই প্রতিবছরই বাৎসরিক বেতনের পরিমাণ কিছুটা পরিবর্তন হয়। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য পঠন পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট বেতন ছাড়া বাকি সমস্ত কিছুর খরচ একই থাকবে বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে।