Bangladesh: ভারত হোক বা পাকিস্তান, এই এক বিষয়ে বলে বলে গোল দিচ্ছে বাংলাদেশ! ধারেকাছে নেই চিনও

China, India or Pakistan are not close to Bangladesh in the textile industry: ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) বর্তমানে আলাদা আলাদা তিনটি রাষ্ট্র হলেও একসময় তা অবিভক্ত ভারতবর্ষ নামেই পরিচিত ছিল। দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং হানাহানির পর ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট একদিকে যেমন ব্রিটিশদের কবল থেকে ভারত স্বাধীন হয়, অন্যদিকে অবিভক্ত ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে একদিকে থাকে ভারত এবং অপর দিকে থাকে পাকিস্তান। সে সময় পাকিস্তানকে বিভক্ত করে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান গড়ে ওঠে।

তবে স্বাধীনতার এক দশকের মধ্যেই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান। এর পর ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের লড়াই সম্পন্ন করে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছ থেকে পৃথক ও স্বাধীন হয় পূর্ব পাকিস্তান। এবং স্বাধীনতার পর তার নাম হয় বাংলাদেশ (Bangladesh)। বর্তমানে যখন খেলার ময়দানে একাধিক বার ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় তখন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই বাংলা তেই। বিভিন্ন বিষয়ে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের থেকে বেশ অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এমন একটি বিষয় আছে যেখানে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে আছে অনেকটাই। এদিক থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে টেক্কা দিতে পারে না।

জানা যায় পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই বর্তমান বাংলাদেশ একটি বিষয়ে এগিয়ে ছিল। সে সময় এখানকার মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২ শতাংশ বেশি। ১৯৭০ সালে এই পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮১ শতাংশে। সেই সময়কাল থেকেই পোশাক রফতানি সহ আরো কয়েকটি ক্ষেত্রে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টেক্সটাইল রফতানিতে চিনকেও পিছনে ফেলে দিতে প্রস্তুত তারা। এদিক থেকে ভারতের থেকেও অনেক এগিয়ে গেছে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। বর্তমানে চিনের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। সেখানে ভারত রয়েছে পঞ্চম স্থানে৷ বাংলাদেশ বস্ত্র রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেও সেখানে কার্পাস বা তুলো উৎপন্ন হয় না। এদিকে পাকিস্তান শ্রেষ্ঠ তুলা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে খ্যাত।

আরও পড়ুন 👉 Bangladesh Medinipur Special Train: বছরে শুধু একদিন চলে এই ট্রেন, বাংলাদেশ থেকে সোজা আসা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর

২০২৪ সালের হিসেবে বাংলাদেশে জিডিপির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬% এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১২ বছর ধরে ৬% এর বেশি। এদিকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১২ বছরে ৩-৪ শতাংশের মধ্যেই অবস্থিত। এদিক থেকে ২০২৩ অর্থ বছরে পাকিস্তানের বৃদ্ধির হার ছিল ০.২৯ শতাংশ। জানা যায় বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে। বাংলাদেশের ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের উৎস হলো এই বস্ত্র রফতানি।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ আদিল মালিক বলেছেন “১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এর পর উন্নতি শুরু হয়। প্রতি বছর তা বেড়েছে”। বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৬৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ পাকিস্তানের মোট রফতানি ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের হিসাবে বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ১০.৪৪ শতাংশের কম। পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের হিসাবে ৩৯.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের (Bangladesh) বস্ত্র শিল্পে নারীর সংখ্যা ৮০ শতাংশের বেশি কিন্তু পাকিস্তানের বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ নারী।