Bangladesh Medinipur Special Train: বছরে শুধু একদিন চলে এই ট্রেন, বাংলাদেশ থেকে সোজা আসা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে কখনো কখনো এমন সব ঘটনা ঘটতে দেখা যায় যেগুলি মানুষদের একদিকে যেমন অবাক করে ঠিক সেই রকমই তা কৌতুহলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক সেইরকমই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ট্রেন বেশ কৌতূহলের কারণ দুই দেশের মানুষদের কাছে। কেননা এই ট্রেনটি কেবলমাত্র বছরে একদিন বাংলাদেশ থেকে সোজা আসে পশ্চিম মেদিনীপুর আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সোজা ফিরে যায় বাংলাদেশ (Bangladesh Medinipur Special Train)।

বাংলাদেশ থেকে সোজা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সোজা বাংলাদেশের মধ্যে বছরে একদিন চলাচল করা এই ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) তরফ থেকে ভারতে পাঠানো হয়। দুই দেশের সম্মতিক্রমে এমনটা হয়ে থাকে। এমনিতে দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক ট্রেন চলাচল হয়ে থাকলেও পশ্চিম মেদিনীপুর পর্যন্ত এই ট্রেনটি কিন্তু বছরে এক দিনই চলে।

বাংলাদেশ ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে চলাচল করা এই স্পেশাল ট্রেনটি আবার এই বছর প্রথম চালু হলো তা নয়। এই বিশেষ ট্রেনটি ১৯৫৩ সাল থেকে চালু রয়েছে। তবে ২০২১ এবং ২০২২ সালে এই ট্রেন চলেনি কেবলমাত্র করোনা অতিমারির কারণে। এই ট্রেনটিকে দেখার জন্য প্রতিবছর এলাকার মানুষদের মধ্যে চরম উৎসাহ দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হল কেন কেবলমাত্র বছরে একদিন বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রেনটি চালিয়ে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে?

আরও পড়ুন 👉 Bangladesh India Train Fare: মাথায় হাত বাংলাদেশীদের, ফের বেড়ে গেল ভারত আসার ট্রেনের খরচ

আসলে সুফি সাধক হজরত সৈয়দ মুরশেদ আলি আলকাদেরি আল বাগদাদি, যিনি ‘মওলা পাক’ নামে পরিচিত, তার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষেই পশ্চিম মেদিনীপুরে আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক ওরশ উৎসব। এই উৎসবের জন্যই প্রতিবছর বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে একটি ট্রেনে করে পুণ্যার্থীদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠানো হয়। এই বছর ২৪ কামরার একটি ট্রেনে মোট ২২৫৬ জন পুণ্যার্থী এসেছেন।

মওলাপাক কাদেরিয়া তরিকার প্রাণপুরুষ বড় পীর সাহেব গওসুল আজম হজরত সৈয়দ শাহ আব্দুল কাদের জিলানির ২৩তম বংশধর। তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন ৪ ফাল্গুন। এই দিনটিকেই ওরস দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। আর এই আন্তর্জাতিক ওরস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন দেশ থেকে অজস্র ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ভিড় জমান পশ্চিম মেদিনীপুরের মির্জা বাজার এলাকায়।