রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষদের অভিযোগের অন্ত নেই। সিভিক ভলেন্টিয়াররা নিজেদের ডিএম, এসপি ভাবেন এমন নানান অভিযোগ করতে দেখা যায় আমজনতাকে। তবে সব সিভিক ভলেন্টিয়ার যে একই রকম তা কিন্তু নয়। অন্ততপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ির এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজকর্ম দেখলে আপনি তাকে স্যালুট জানাতে বাধ্য হবে।
বীরভূমের কুসুম্বা গ্রামের শিবায়ন ভট্টাচার্য, এক ছাপোষা যুবক কাজের তাগিদে যোগ দিয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার। রামপুরহাটের ট্রাফিকে তিনি কর্মরত। দিনে ৮-৯ ঘন্টা ডিউটি করে থাকেন। ডিউটি শেষ করেই শুরু হয় তার আসল কাজ। আর তার এই কাজের জন্যই তিনি এলাকায় সবচেয়ে বেশি পরিচিত লাভ করেছেন।
শিবায়ন ভট্টাচার্য নিজের ডিউটি সেরে লেগে পড়েন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের সাহায্যের জন্য। নিজের সাধ্যমত তিনি কখনো দুস্থ দরিদ্রদের খাবার, কখনো আবার ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা, কখনো আবার অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তুলে দেন নানা ধরনের উপহার। আর তার এই কাজকর্ম দেখে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষেরা তাকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের তুলনায় একজন সমাজকর্মী হিসেবে স্যালুট জানিয়ে থাকেন।
সিভিক ভলেন্টিয়াররা কত টাকা বেতন পায় তা আমরা অধিকাংশরাই জানি। মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতন পেলেও শিবায়ন সেই বেতন থেকেই চার হাজার টাকা প্রতি মাসে বাঁচানোর চেষ্টা করেন এমন মানুষদের সাহায্যের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই অল্প বেতনের এমন একজন যুবক সমাজে যেভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে গর্বিত এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা।