বাংলার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কিষাণ নিধির টাকা ঢুকতেই খোলা চিঠি মমতা ব্যানার্জীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির নবম কিস্তির টাকা সোমবার প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে পাঠানো হলো দেশের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রায় ৯.৭৫ কোটি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে নবম কিস্তির ২০০০ টাকা পাঠানো হলো। তবে যেহেতু এই প্রকল্প আগে পশ্চিমবঙ্গের চালু হয়নি সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেলেন। এই টাকা পাওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৭ আগস্ট রাজ্যের কৃষকদের জন্য একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। যে চিঠিটি সোমবার প্রকাশ্যে আসে।

যে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “দীর্ঘ টালবাহানা ও নানা অজুহাত দেখিয়ে দিল্লির সরকার প্রধানমন্ত্রী কিসান নিধি সম্মান প্রকল্পের টাকা দিচ্ছিল না। আপনাদের প্রাপ্য ছিল ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু পাচ্ছেন অনেক কম। এইটুকুও পেতেন না যদি না আমরা আপনাদের হয়ে লড়াই করতাম।”

এর পাশাপাশি তিনি চিঠিতে এটাও লিখেছেন, “আপনারা জানেন এ রাজ্যের সব কৃষকদের জন্য আমরা ২০১৮ সালে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের টাকায় কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছি। যা সারা দেশের মডেল। এর পরই ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল PM-Kisan প্রকল্প। তুল্যমূল্য বিচারে আমাদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। এতে বর্গাদার অথবা ভাগচাষীরাও অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৬৮ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। যাদের মধ্যে গত কিস্তির সময় ৭.০৩ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল এই প্রকল্পে। পরবর্তী কালে আগস্ট মাসের কিস্তির সময় এই প্রকল্পের আওতায় এখনো পর্যন্ত মোট ২৬ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আবেদন করা কৃষকদের প্রায় ১০ লক্ষ কৃষকের নাম বাতিল করা হয়েছে কোন ত্রুটি থাকার কারণে।

তবে এই নাম বাতিল হওয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তর্জা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে নাম বাদ যাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রের এই প্রকল্পে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত না হওয়ার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধাচরণকে দায়ী করেছেন।