ভারত আকাশসীমা বন্ধ করলে কোন সমস্যার মুখে পড়বে পাকিস্তান? পাকিস্তানের কোন বিমানগুলিতে কোপ পড়বে?

সম্প্রতি পহেলগাঁওতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আর এই জঙ্গি হামলার শাস্তি স্বরূপ পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে যে সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি ছিল তা বাতিল করেছে ভারত। এছাড়া নয়া দিল্লির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বন্ধ সহ ভারত-পাক বাণিজ্য স্থগিত ও আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত বন্ধ করার। অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বদা কু-বুদ্ধি আঁটতে থাকা পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে।

পাক সরকারের তরফে ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কে স্থায়ী চির ধরেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে। এখন এই প্রশ্নই উঠে আসছে ভারত যদি এমন পদক্ষেপ নিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে , তবে তারা কোন সমস্যার মুখে পড়তো?

আরও পড়ুন: ‘দিদির পুলিশের কাছে ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি’, ক্ষমা চেয়ে নিলেন অনুব্রত

ভারতের আকাশপথ ব্যবহার করে পাকিস্তানের অনেক যাত্রিবাহী এবং মালবাহী বিমান। পাশাপাশি আরবের উপসাগরীয় এলাকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় অংশে পাকিস্তানের বিমানের যাত্রাপথ ভারতের আকাশ দিয়ে। ভারত এই সময় পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিলে, সেখানকার বিমানগুলিকে ঘুরপথে ইরান, আফগানিস্তান বা মধ্য এশিয়ার উপর দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তাতে সময়ও যেমন বেশি ব্যয় হবে তেমনই জ্বালানিও বেশি খরচও হু হু করে বাড়বে। বাদ যাবে না অতিরিক্ত বিমান খরচও। ভারতীয় সংস্থাগুলিকে এখন এই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আকাশপথে বিমানগুলিকে ঘুরপথে যাত্রা করতে হলে বিমানগুলিতে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি মজুদ রাখতে হবে। যার ফল স্বরূপ বিমানের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যাত্রীসংখ্যা বা জিনিসপত্রের ওজন কম করতে হয়। এদিকে যাত্রীসংখ্যাতে যদি কাটছাট করা হয় সেক্ষেত্রে বিমানসংস্থাগুলির আয় হ্রাস পাবে। এমনিতেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স আর্থিক দিক থেকে টলমল করছে। ভারত যদি এবার আকাশ পথ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় তবে পাকিস্তানের সংস্থার মাথায় বাজ পড়বে।

উল্লেখ্য, সদস্য দেশগুলি বাণিজ্যি বা যাত্রী পরিবহণের জন্য একে অপরকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে বাধ্য বলা হয় আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংগঠনের নিয়ম অনুসারে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত এবং পাকিস্তানের নামও রয়েছে সেই তালিকায়। কিন্তু জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে এই নিয়ম অমান্য করা যায়।