Ganga Water Sharing Treaty: ভারত ও বাংলাদেশের গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তি কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে?

Ganga Water Sharing Treaty: ভারত ও বাংলাদেশের গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২৬ সালে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে, ভারত একটি নতুন, সময়োপযোগী চুক্তির কথা ভাবছে যা বর্তমান উন্নয়নগত চাহিদা, যেমন সেচ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষণাবেক্ষণ, পূরণে সহায়ক হবে।

ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি
  • পর্যালোচনার দাবি: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমর্থন নিয়ে) মনে করে ১৯৯৬ সালের চুক্তির কাঠামো আর বর্তমান চাহিদা ও জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট নয়। তাই তারা চুক্তি নবায়নে শুষ্ক মৌসুমে অতিরিক্ত ৩০‑৩৫ হাজার কিউসেক জল চায়।
  • নবচুক্তির মেয়াদ: পুরনো চুক্তির মতো ৩০ বছরের পরিবর্তে ভারতে ১০–১৫ বছরের ছোট মেয়াদী চুক্তি প্রত্যাশা করছে, যাতে পারস্পরিকভাবে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি
  • সহযোগিতার আহ্বান: ঢাকায় ভারত সরকারের প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে “optimum cooperation” প্রদান করতে যাতে নবায়ন প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু হয়।
  • কারিগরি কথোপকথন: ২০২৫ সালের মার্চে বাংলাদেশের একটি কারিগরি দল ভারতের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিল, যা চুক্তির অবকাঠামো, তথ্য বিনিময় ও জল ব্যবস্থাপনার উন্নয়নমূলক দিক নিয়ে আলোচনা করেছে।
  • অধিকাংশ মৌলিক মান রক্ষা: বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে যদি নতুন চুক্তি (Ganga Water Sharing Treaty) না হয়, তবে পুরনো শর্ত অনুযায়ী জল প্রদান চালু থাকবে। তবে বাংলাদেশের জলবায়ু–সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষয়িক দিক বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমান অবস্থা সংক্ষেপে
  • বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তি (Ganga Water Sharing Treaty) নবায়ন পুনঃপর্যালোচনা ও শর্ত পরিবর্তনে সহযোগিতামূলক মনোভাব, দ্রুত নবায়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
  • ভারতের পক্ষ থেকে শুষ্ক মৌসুমে চাহিদা অতিরিক্ত ৩০-৩৫ কিউসেক পানি চারুকরণ ও স্বার্থ রক্ষার দিক ভেবে দেখা হচ্ছে।
  • ভারত চুক্তির মেয়াদকাল ১০-১৫ বছর চান পুরনো কাঠামো বজায় রাখতে আগ্রহী।
  • আলোচনার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঢাকায় স্বাগত জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যত পূর্বাভাস
  • ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ পাকিস্তানের সাথে ইন্দাস জল চুক্তি স্থগিতের পর গঙ্গা জল চুক্তিতেও (Ganga Water Sharing Treaty) নতুন ধারার উন্মোচন হচ্ছে।
  • আলোচনা এখন যৌথ কৌশলগত পর্যায়ে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রযুক্তিগত ও কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্ম (যেমন JRC‑জয়েন্ট রিভিউ কমিশন) সক্রিয়।
  • ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন চুক্তি না হলে, ডিফল্টভাবে পুরনো চুক্তি শর্ত অনুযায়ী জল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে, তবে ভারতের চাপ থাকবে শর্ত পরিবর্তনের।

আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধনে ভাগ্য ফিরবে ভারতের, সত্যটি জানলে চমকে উঠবেন

আগামীর প্রক্রিয়া
  • আগামী ২০২৫-২৬ সালে দুটি দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও কারিগরি আলোচনা হবে।
  • নবচুক্তির আলোচ্যসূচির প্রেক্ষিতে ভারত নতুন বিকল্প মডেল প্রস্তাব করবে, বাংলাদেশ তার আন্তর্জাতিক জলবণ্টনের অধিকার রক্ষা করবে।
সম্ভাব্য ফল
  • ব্যর্থ হলে: পুরনো ১৯৯৬ সালের চুক্তি (Ganga Water Sharing Treaty) বজায় থাকবে।
  • সফল হলে: উন্নয়নমুখী, স্বল্পমেয়াদী নতুন চুক্তি হতে পারে।
সারসংক্ষেপ

ভারত গঙ্গা জল চুক্তি (Ganga Water Sharing Treaty) নবায়নে আগ্রহী হয়েছে বেশ সক্রিয়ভাবে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে, এবং ভারত নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ের একটি নতুন, স্বল্প–মেয়াদী চুক্তির পক্ষে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সহযোগিতার সংকেত দিয়েছে, তবে চূড়ান্ত কথোপকথন এখন শুরু হচ্ছে।