এবার বেসুরো দিবেন্দ্যু অধিকারী, কাঁথির প্রশাসক নিয়োগ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদন : অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কি এবার শেষ! কি হবে এই পরিবারের একাধিক সদস্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! নতুন বছরে এখন দানা বেঁধেছে এই সকল প্রশ্নই। কারণ ইতিমধ্যেই অধিকারী পরিবারের অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও শুক্রবারই হয়তো নাম লেখাতে চলেছেন পদ্ম পাতায়। আর এরই মাঝে এবার বেসুরো অধিকারী পরিবারের আরেক তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

দিব্যেন্দু অধিকারীর বেসুরো হওয়ার কারণ হিসেবে রয়েছে তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। সৌমেন্দু অধিকারীর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে সেই জায়গায় বসানো হয়েছে সিদ্ধার্থ মাইতিকে। আর এই অপসারণ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সৌমেন্দু অধিকারীর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর এবার সৌমেন্দুর পাশাপাশি এই অপসারণ এবং সিদ্ধার্থ মাইতির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছেন, কাউন্সিলরই নন এমন কাউকে কিভাবে প্রশাসকের পদে বসানো যায়? তাঁর বক্তব্য, “যাকে নতুন প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তিনি অর্থাৎ সিদ্ধার্থ মাইতি কাউন্সিলরই নন। কিভাবে তাকে এই পদে বসানো হচ্ছে? সৌমেন্দুকে নিয়ে কোন অসুবিধা হলে আমাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া যেত। কারন আমিও তো একজন কাউন্সিলর।”

অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারি দুদিন আগেই যখন সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তখন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কাঁথি পৌরসভায় তার বসার জন্য যে অফিস করা হয়েছে সেই অফিসে তিনি আর যাবেন না। মূলত ক্ষোভ থেকেই এমনটা তিনি জানান।

অন্যদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তখন দিব্যেন্দু অধিকারি জানিয়েছিলেন তিনি তৃণমূলেই থাকবেন। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। কারণ যেভাবে সৌমেন্দু এবং তারপর দিব্যেন্দুকে বেসুরো হতে দেখা যাচ্ছে তাতে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের উঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন।