দীঘার রোপওয়ে নিয়ে বড় উদ্যোগ! পর্যটকদের মন ভরাতে নতুন পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের অধিকাংশ সময় পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) সমুদ্র সৈকত দীঘা (Digha), মন্দারমনি (Mandarmani) সহ অন্যান্য জায়গায় পর্যটকদের ভিড় জমতে দেখা যায়। কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকলেও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও জনপ্রিয় এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। পর্যটকদের সংখ্যা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন সমুদ্র সৈকত তৈরি করার পাশাপাশি পার্ক সহ বিভিন্ন মনোরঞ্জনের এলাকা তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে দীঘায় অন্যতম একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল অমরাবতী পার্কের রোপওয়ে (Digha Amarabati Park Ropeway)। তবে এটি আকর্ষণের অন্যতম জায়গা হলেও একাধিকবার এই রোপওয়েতে দুর্ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন।

দীঘায় অমরাবতী পার্কে থাকা এই রোপওয়েতে যাতে দুর্ঘটনা ঠেকানো যায় তার জন্য দীঘা ও শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মক ডিলের ব্যবস্থা করেছে। যদি কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে কিভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, সেই বিষয়েই মহড়া দেওয়া হবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা কিভাবে কমানো যায়, সেই বিষয়েও নজরদারি চালানো হবে। এই সকল ব্যবস্থার ফলে নিউ দিঘার অমরাবতীর রোপওয়ে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করছে প্রশাসন।

দীঘা এবং পার্শ্ববর্তী সমুদ্র সৈকত এলাকা আরও সুন্দর করে তোলার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন নতুন নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ। এছাড়াও মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি করা হয়েছে পুরাতন দীঘায় একটি বড় পার্ক। সেই পার্কের আদলে নতুন দেখাতেও একটি বড় পার্ক তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে আবার রোপওয়ে নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা দীঘার জনপ্রিয়তা আরও বাড়াবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

দীঘার অমরাবতী পার্কে যে রোপওয়ে রয়েছে তাতে বছর কয়েক আগে এক দুর্ঘটনা ঘটে এবং সেই দুর্ঘটনায় রোপওয়ের হুইল আটকে গেলে তিনটি রোপওয়েতে ২০ জন পর্যটক আটকে যান। বাচ্চা, বুড়ো মিলে আটকে যাওয়ার এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। প্রায় ঘন্টা তিনেকের প্রচেষ্টায় ওই সকল পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, পার্কে কোন টেকনিশিয়ান ছিলেন না এবং যে কারণে উদ্ধার কার্যে এত সময় লাগে। উদ্ধার কার্য তখনই সম্ভব হয় যখন দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে কাজে হাত লাগান।