নয়া ভেহিকল আইনে সতর্ক না হলেই বাতিল হতে পারে Driving License

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৯৮৯ মোটর ভেহিকল আইনের একাধিক সংশোধনী লাগু করা হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে এই সংশোধনী আইন লাগু হয়েছে দেশজুড়ে। নতুন মোটর ভেহিকল আইন লাগু হওয়ার পর গাড়ি চালকরা যেমন একাধিক সুবিধা পাচ্ছেন ঠিক তেমনি তাদের আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে। কারণ একটুও অসতর্ক এবং অসাবধানতা বরদাস্ত করা হবে না নতুন আইন অনুযায়ী। এমনকি আইনে উল্লেখিত বেশ কিছু নিয়ম না মানলে বাতিল হতে পারে চালককের Driving License।

নতুন এই আইনে বলা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের সাথে কোনো চালক যদি খারাপ ব্যবহার করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা যেমন হবে ঠিক তেমনি বাতিল হতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স। তবে শুধু ট্রাফিক পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার নয়, এর পাশাপাশি বলা হয়েছে গাড়ি না থামালে এবং ট্রাকলোডিং এলাকায় গাড়ি চড়া সহ একাধিক ক্ষেত্রেও বাতিল হতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

১৯৮৯ মোটর ভেহিকল আইনের সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয় ২০১৯ সালে। যাওয়ার পর এই সংশোধনী আইন আগস্ট মাসে সর্বসমক্ষে পেশ করা হয়। নতুন এই আইন অনুযায়ী এখন থেকে আর গাড়িচালকদের গাড়ির কাগজপত্র এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের অরিজিনাল কপি নিজেদের সাথে রাখার প্রয়োজন নেই। বরং এই সকল কাগজপত্রের সফট কপি রাখলেই হবে। অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই সকল নথি সংরক্ষিত রাখা যাবে।

এর পাশাপাশি বর্তমানের এই ব্যবস্থাকে এতটাই উন্নত করা হয়েছে যে কোন গাড়ি অথবা চালকের বিরুদ্ধে যে কোনো স্থানের পুলিশ অফিসার কোন পদক্ষেপ নিলে অথবা চেকিং করলে তা অন্য অফিসার অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। এর ফলে গাড়ি চালকদের এবং পুলিশের সুবিধা বাড়বে। কারণ বারবার একই গাড়ির কাগজপত্র চেক করার প্রয়োজন হবে না। বারবার একই গাড়ির কাগজপত্র চেক না হলে গাড়ি চালক এবং পুলিশ দুই পক্ষেরই সময় বাঁচবে।

অন্যদিকে নিয়ম ভঙ্গের কারণে কোনো চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হলে পরিচালক কোনো নথি দেখাতে চাইলে তা দেখানোর সুযোগও দেওয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের সময় ইনস্পেকশনের তারিখ এবং স্ট্যাম্প, সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার অথবা আধিকারিকের নাম সব রেকর্ড থাকবে সরকারি পোর্টালে। সেইমতো সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নেওয়া যাবে। এমনটাই জানিয়েছে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক।