Chicken Skin: মুরগির মাংস আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের অন্যতম প্রধান অংশ, যা প্রোটিনের উৎস হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তবে, এই প্রিয় খাবারের একটি বিশেষ অংশ খাওয়া শরীরের জন্য চরম বিপদ বয়ে আনতে পারে। হ্যাঁ, আমি মুরগির চামড়ার কথাই বলছি! মুরগির মাংস সুস্বাদু হলেও এর চামড়া খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। মুরগির চামড়া (Chicken Skin) আপনার প্রিয় খাদ্য হলেও এটি খাওয়া বিষের মতো ক্ষতিকর হতে পারে।
মুরগির চামড়ায় (Chicken Skin) উচ্চমাত্রায় ক্ষতিকর চর্বি থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট বাড়িয়ে তোলে। এই চর্বি রক্তনালিতে জমা হতে শুরু করলে তা ধীরে ধীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে, ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মুরগির চামড়া শরীরে পুষ্টি যোগ করে না, বরং এটি কেবল ফ্যাটের ভার বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত মুরগির চামড়া খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।
আরও আশঙ্কার বিষয় হলো, বাজারে মুরগির চামড়াকে আরও আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য এর ওপর প্রায়ই ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে আমাদের লিভার এবং কিডনিকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে তোলে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদে এই রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, যা জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি। মুরগির চামড়ার এই সুস্বাদু অংশটি আপনার প্লেটে দেখতে যতটা লোভনীয়, এর আড়ালে লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর হাতছানি।
আরো পড়ুন: পরোটার ভিতরে পাওয়া গেলো প্লাস্টিকের তার, জরিমানা ১০ লক্ষ টাকা
কিছু মানুষ অবশ্য মুরগির চামড়ার (Chicken Skin) বিশেষ স্বাদ পছন্দ করেন, বিশেষ করে যখন এটি ভালোভাবে মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। তবে এটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করতে হলে কয়েকবার পরিষ্কার করে, নুন এবং হলুদ দিয়ে ভালোভাবে রান্না করা উচিত। এটি কিছুটা ক্ষতি কমাতে পারে, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে চামড়া খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে মুরগির চামড়া খাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত।
অতএব, যতই সুস্বাদু লাগুক, মুরগির চামড়া নিয়মিত খাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। সীমিত পরিমাণে খাওয়া এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনার স্বাদ ইন্দ্রিয়কে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। মুরগির এই সুস্বাদু চামড়া আপনার জন্য বিষে পরিণত হতে পারে, তাই স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন।