রাজনীতিতে ধুরন্ধর শুভেন্দু অধিকারীর পড়াশোনা কতদূর! সামনে এলো আসল সত্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের নাম রয়েছে। শুধু নাম নয় অধিকারী পরিবারের প্রত্যেককেই রাজনীতির আঙিনায় দাপট দেখাতে দেখা যায়। সম্প্রতি অধিকারী পরিবারের সদস্য শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। মূলত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক ময়দানে আরও বেশি মাইলেজ পেয়েছেন।

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ত্যাগ করে চলে আসেন গেরুয়া শিবিরে। এই বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় হাসিল করেন।

গেরুয়া শিবিরে আসার পর ভোটের ময়দানে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় হাসিল করার পর স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নয়নের মনি হয়ে দাঁড়ান। এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুরস্কার স্বরূপ বিজেপি তাকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে বেছে নেন। বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রাজ্যের বহু মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন রয়েছে, তবে সেই সকল প্রশ্নের পাশাপাশি কৌতুহল তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে।

শুভেন্দু অধিকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর তা তিনি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই হলফনামা জমা দেওয়া হয়ে থাকে। সেই ফলকনামা থেকেই জানা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুধু অধিকারী কত দূর পড়াশোনা করেছেন?

হলফনামায় শুভেন্দু অধিকারী উল্লেখ করেছেন, ২০১১ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বিষয় ইতিহাস ছিল এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু এর থেকে বেশি আর কোন উল্লেখ হলফনামায় নেই। তবে অন্যান্য বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্র জীবনে একজন মেধাবী পড়ুয়া ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি বিভিন্ন পরীক্ষায় তিনি মেধাতালিকাতেও উঠে এসেছিলেন।