Price of Glasses: দলের বিধায়কের চশমার খরচ শুনে চক্ষু চড়কগাছ মুখ্যমন্ত্রীর

Price of Glasses: স্পিকারের টেবিলে পেশ করা হয়েছিল চশমার বিল। চশমা তৈরি করতে মোট খরচের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৬৫ হাজার টাকায়। যিনি এই বিলটি বিধানসভায় পেশ করেছিলেন তিনি হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্রের তিনবারের তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক। আবার ওইদিনই সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেসময় জানতে চান চশমার বিল কত টাকা এসেছে। এই মোটা টাকা বিল শুনে আঁতকে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

এরপরেই তিনি বিধায়কদের মেডিক্যাল বিল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন স্পিকারের সঙ্গে। এরপর মনস্থির করা হয় বিধায়কদের চশমার দাম (Price of Glasses) পাঁচ হাজার টাকার বেশি হতে পারে না। পাঁচ হাজারের মধ্যে খরচ করতে হবে। একইসাথে, বিধায়কদের হাসপাতালে শয্যা খরচ প্রতিদিন আট হাজার টাকার মধ্যে রাখার কথা জানানো হয়। বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে এই অনুযায়ী কার্যকরী পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। বিধানসভার সচিবালয় এর তরফে বিধানসভার সদস্যদের যাবতীয় চিকিৎসার খরচ চালানো হয়।

কিছু সময় বিধায়কদের মাত্রাতিরিক্ত মেডিক্যাল বিল নিয়ে বিধানসভার আধিকারিকদের সমস্যায় পড়তে হয়। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও অসঙ্গতি বা অতিরিক্ত খরচ এর হিসাব পাওয়া গেলে তা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে তোলা হয়। ঠিক তেমনই হয়েছে এই মাত্রাছাড়া চশমার বিলের (Price of Glasses) ক্ষেত্রে। স্পিকারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, বিধায়কদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট খরচ নির্ধারিত আছে কিনা। এরপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। তারপর স্পিকার বিধানসভার সচিবালয়কে জানায়, বিধায়কদের নতুন চশমা বানানোর জন্য এবার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।‌

আরও পড়ুন: টিকিটের দাম হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে লাখে পৌঁছেছে! এটিই কিন্তু এশিয়ার সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন

অন্যদিকে, বিধায়ক হাসপাতালে ভর্তি হলে রোজের শয্যা খরচ হিসেবে ৮ হাজার টাকার বেশি বরাদ্দ করা হবে না। এক্ষেত্রে মনে পড়ে যায় আরও কিছু মাত্রাছাড়া খরচের তালিকা। ২০২৪ সালে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের মেডিক্যাল বিল নিয়ে রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিধায়কের কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণের সময় হাসপাতালের খরচ হিসাবে ৬ লক্ষ টাকার বিল বিধানসভায় পেশ করেছিলেন তিনি। এরপর আর বেশি কিছু না বলে পিছু হটেন তিনি।

অন্যদিকে, মমতার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ৯৯ হাজার ৮৮০ টাকার একটি মেডিক্যাল বিল পেশ করেছিলেন বিধানসভায়। সেই বিল অনুযায়ী পার্ক স্ট্রিটে অবস্থিত একটি দোকান থেকে দুটি চশমা তৈরি করিয়েছিলেন তিনি। দুটি চশমার দাম পড়েছিল ৭০ হাজার টাকা। আবার ওই খরচের সঙ্গেই তিনি অন্য একটি চশমা সারাই করা এবং তাঁর দৈনন্দিন ওষুধের খরচ জুড়ে মোটা অংকের বিল জমা করেছিলেন। পরবর্তীতে যদিও সেই বিল প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ২০১৮ সালে কেরল বিধানসভার স্পিকার পি শ্রীরামকৃষ্ণন ৫০ হাজার টাকার চশমা (Price of Glasses) কিনে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। ২০০৪ সাল নাগাদ কেরলের তৎকালীন স্পিকার ভক্কম পুরুষোত্তমন প্রস্তাবে জানিয়েছিলেন, চশমার জন্য সরকারি খরচ পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে রাখতে হবে। সেই প্রস্তাব আদেও কার্যকর হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার এই খরচের সীমায় দাঁড়ি টেনেছেন।