নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের আগমণ মানেই ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান (Tour Plan) করে থাকেন। ভ্রমণপিপাসুদের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় বাঙ্গালীদের কথা। কেননা তারা অল্প দিনের ছুটি পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে যান। আবার শীতের মরশুমে ঘোরার এই প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।
বাঙ্গালীদের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রথমেই যে সকল জায়গা মনে আসে সেগুলি হল দীঘা, দার্জিলিং, পুরী। এর বাইরে যে সকল জায়গা সচরাচর মনে পড়ে সেগুলি হল কালিম্পং, সিকিম সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা। তবে অনেকেই রয়েছেন যাদের কাছে এই সকল জায়গা একঘেয়েমি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার একই জায়গা যাওয়ার কারণে আর তাদের এই সকল জায়গায় মন বসে না। তবে আমরা আজ এমন একটি জায়গার সন্ধান দিতে চলেছি যেখানে পাহাড়ি প্রকৃতির আনন্দের পাশাপাশি মিলবে নতুন কিছু দেখার সুযোগ। গ্যারান্টি এই জায়গা গেলে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
যে নতুন জায়গাটির কথা বলা হচ্ছে সেটি উত্তরবঙ্গেই রয়েছে। পাহাড়ি এই এলাকাটি হল বিজন বাড়ি (BijanBari)। উত্তরবঙ্গের যে সকল পাহাড়ি গ্রামগুলিতে পর্যটকরা শান্তির খোঁজে ছুটে যান তাদের মধ্যে বিজনবাড়ি অন্যতম। পাহাড়ে ঘেরা সবুজে সাজানো এই জায়গায় ঘুরতে যাওয়া আর দিন দুয়েকের অবসরযাপন পর্যটকদের কাছে স্বর্ণালী স্মৃতি হয়ে থেকে যায়।
আরও পড়ুন ? কপাল খুলতে চলেছে উত্তরবঙ্গের! এই তিন জেলায় ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, বড় সুখবর দিল রাজ্য
এখানে থাকার জন্য পর্যটকদের হোমস্টে ভাড়া করতে হয়। ভোর হলেই এখানে শোনা যায়, পাহাড়ি নানান পাখিদের কলতান। হোমস্টের বারান্দায় বসে গরম চায়ে চুমুক দিয়ে দেখা যাবে বয়ে চলা খরস্রোতা রঙ্গিত। এর পাশাপাশি এখানে গেলে দেখা যাবে কমলালেবু, আনারস চাষ ইত্যাদি। সবচেয়ে মন ভরিয়ে দিতে পারে পাহাড়ি এলাকায় রংবেরঙের ফুলের বাগান।
বিজনবাড়ি হল দার্জিলিংয়েরই একটি এলাকা। এখানে পৌঁছানোর জন্য পর্যটকদের নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে নামতে হয় এবং সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে বিজনবাড়িতে পৌঁছাতে হয়। তারপর পৌঁছে যান হোমস্টেতে। তবে, অন্যান্য অফবিট জায়গায় থাকার থেকে এখানে খরচ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। এখানে মাথাপিছু প্রায় দু’হাজার টাকা খরচ হয়। পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা হয়ে ওঠার কারণেই বিজনবাড়িতে খরচ তুলনামূলক বেশি।