প্রধান হলেই বাড়ি-গাড়ির লাইন, ৪ বারের বিধায়ক হয়েও পাকা বাড়ি করতে পারলেন না ইনি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধায়ক তো দূরের কথা, একজন পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েই নতুন নতুন বাড়ি-গাড়ির লাইন লাগিয়ে দিচ্ছেন। স্বচক্ষে দেখার পরে এমনটাই মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তবে দেশে এমনও এক বিধায়ক রয়েছেন যিনি চার চারবার বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েও তৈরি করতে পারেননি নিজের জন্য একটি পাকা বাড়ি। শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি যে ছবি ফুটে উঠেছে তাতে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই যে বিধায়কের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তিনি সদ্য চতুর্থবারের জন্য বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি এই নিয়ে চতুর্থবার জয়ী হলেন। সচরাচর এই বিধায়ককে কেউ না চিনলেও তার নামটা জেনে রাখা জরুরি। তিনি হলেন মেহেবুব আলম। তার পরিচিতি নেই এই কারণে, কারণ তিনি আশেপাশের কোটিপতি বিধায়কদের পাশে বেমানান, আর এই বেমানান থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছেন। কারণ অন্যান্য বিধায়কদের মত তার নেই গাড়ি, নেই চারতলা পাঁচতলা বাড়ি। নেই অন্যান্য বিধায়কদের মত উন্নতমানের জীবনযাপন। তবে তিনি এই গাড়ি বাড়িওয়ালা বিধায়কদের তালিকায় হারিয়ে গেলেও হারিয়ে যাননি আমজনতার মন থেকে। যে কারণে চলতি বছরেও তিনি প্রমাণ করলেন তিনি সত্যিকারের বিধায়ক।

মেহবুব আলম চাষবাসের কাজ করেন। তার পুঁজি হলো সততা, মানুষের সামনে মাথা তুলে বাঁচা। তিনি জনপ্রতিনিধি বলতে একটা কথাই বোঝেন তা হল মানুষের সেবা করা। আর সেজন্যই তিনি এখনও দুর্নীতি ধরা ভারতের রাজনীতির মাঠে সততার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যে কারনেই তিনি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করার পর এখন বসে পড়েছেন মানুষের মাঝে মানুষের মনে।

এবারের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এই মানুষটি সব থেকে বেশি ভোটের জয়লাভকারী বিধায়ক। ৪৪ বছর বয়সি মেহবুব আলম এবছর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তার সম্পত্তির পরিমাণ লিখেছেন শূন্য। লেখাটায় স্বাভাবিক, কারণ তিনি সম্পত্তি বলতে কি বোঝেন না। তার রয়েছে চাষাবাদের জন্য কিছুটা জমি আর মাত্র একটি কাঁচা বাড়ি। আর এই চারবারের বিধায়কের এমন চরিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটে ওঠার পর তিনিই যেন দেশবাসীর বিশ্বাস এবং ভরসা যুগিয়ে চলেছেন।