বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনায় তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্য চালানো গ্রামবাসীদের এই দায়িত্ব নিল সেনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৮ ডিসেম্বরের সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা আজও কেউ ভুলতে পারেন নি। যেদিন ওয়েলিংটনের সেনা কলেজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত। যাত্রাপথে তাদের কপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কুন্নুরে নীলগিরির জঙ্গলে ১৪ জনকে নিয়ে সেই কপ্টার ভেঙ্গে পড়ে।

দুর্ঘটনার দিনই সন্ধ্যার মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ থেকে দুঃসংবাদ দিয়ে জানানো হয়, সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কপ্টারে থাকাদের দেহ আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে তাদের সনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হয়।

অন্যদিকে এই দুর্ঘটনার সময়ই নিজেদের প্রাণ তুচ্ছ করে জ্বলন্ত কপ্টার থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুর্ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী গ্রাম নানজাপ্পা চাথিরামের বাসিন্দারা। তাদের এমন প্রচেষ্টা কখনোই ভোলার নয়। দুর্ঘটনার পরেই তারা বালতি নিয়ে জল, বালি ইত্যাদি দিয়ে যাত্রীদের বাঁচানোর চেষ্টা চালান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেনার তরফ থেকে ওই গ্রামবাসীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হলো।

গ্রামবাসীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেনা হাসপাতালে চিকিৎসার ঘোষণা করে দক্ষিণ ভারতের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ অরুণ জানান, “আমরা এখানে প্রতি মাসে মেডিকেল ক্যাম্পও পরিচালনা করবো। গ্রামে বেশ কয়েকজন বয়স্ক লোক আছেন এবং তাঁরা এই মেডিকেল ক্যাম্পের কারণে লাভবান হবেন।”

এছাড়াও গ্রামবাসীদের এমন সাহসিকতার জন্য আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সেনা সূত্রে। কৃষ্ণসামি ও চন্দ্রকুমার নামে দুই গ্রামবাসীকে নগদ পুরস্কার দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এই দুজন ব্যক্তিই প্রথম দুর্ঘটনাটি দেখেন এবং গ্রামের মানুষদেরকে উদ্ধার কাজে হাত লাগানোর জন্য খবর দেন।