কোন ভর্তুকি নয়, সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের টিকা নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই সবথেকে বেশি চাহিদা বেড়েছে করোনা টিকার। দেশের প্রায় সর্বত্রই টিকার হাহাকার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এমত অবস্থায় কেন্দ্র সংসদের সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের টিকা দেওয়া নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলো। লোকসভার সচিবালয়ের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম ভর্তুকি দেওয়া হবে না।

লোকসভার সচিবালয়ের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১ লা জুন থেকে সাংসদদের পরিবারের ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সি সদস্যদের টিকাকরণ শুরু করা হবে। দিল্লির ফর্টিস হাসপাতালের স্টাফেরা এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে টিকা দেওয়ার কাজ করবেন। তবে যারা টিকা নিতে চান তাদের কোনো রকম ভর্তুকি নয়, বরং তাদের টিকা কিনতে হবে খোলাবাজারে বেসরকারি সংস্থাগুলি যে দামে টিকা কিনছে সেই দামেই।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাংসদদের পরিবারের সদস্যরা যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক তাদের কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের জন্য দিতে হবে ৮৫০ টাকা এবং যে সকল সদস্যরা কোভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক তাদের প্রতি ডোজের জন্য দিতে হবে ১২৫০ টাকা। এই একই দামে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির থেকে বেসরকারি সংস্থাগুলি টিকা কিনে আসছে।

যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্য টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি থেকে এর তুলনায় অনেকটা কম দামেই টিকা পেয়ে থাকে। যেমন কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে কেন্দ্র পেয়ে থাকে প্রতি ডোজ দেড়শ টাকা এবং রাজ্যগুলি পেয়ে থাকে প্রতি ডোজ সাড়ে তিনশ টাকায়। তবে সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলি যে দামে টিকা কিনছে সেই দামে কিনতে হবে।

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই কেন্দ্র সরকার সংসদে সাংসদদের জন্য বিভিন্ন ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পথে হাঁটছে। প্রথম দফায় সংসদের ক্যান্টিনে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা খাবারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হয়। আর এরপর টিকার ক্ষেত্রে ভর্তুকি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংসদদের ক্ষেত্রে এই ভর্তুকি তুলে দেওয়ার বিষয়ে অধিকাংশ সাংসদরাই সম্মতি দিয়েছেন। আবার বিপুল সুবিধা প্রাপ্ত সাংসদদের ক্ষেত্রে এই সকল ভর্তুকি তুলে দেওয়াই খুশি দেশের আমজনতারাও।