নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগ (SSC) দুর্নীতি মামলায় তদন্ত যতই এগিয়ে চলেছে ততই ফাঁস হচ্ছে দুর্নীতির জাল। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার হওয়া জানিয়ে দিচ্ছে কত দূরে পৌঁছে গিয়েছিল দুর্নীতির শিকড়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হতেই এই সকল রহস্য ফাঁস হচ্ছে।
রহস্য ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। নতুন নতুন নামের এই তালিকায় যেমন উঠে এসেছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে গোপাল দলপতির নাম, সেরকমই উঠে এসেছে বীরভূমের আরেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভাস অধিকারীর নাম। এই সকল ব্যক্তিদের নাম উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পত্তি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে গোপাল দলপতি ৬৫ টি ডিডের মালিক। সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি। প্রশ্ন উঠছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় থেকে এলো তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তরে গোপাল দলপতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্পত্তি থাকা অন্যায় নয়। তবে সেই সম্পত্তি সৎপথে রোজগার করা হয়েছে নাকি দুর্নীতির পথে রোজগার করা হয়েছে তাই দেখার।
গোপাল দলপতি দাবি করেছেন এই সমস্ত টাকা তিনি সৎ পথে রোজগার করেছেন। গোয়েন্দারা তদন্ত করলেই সব জানতে পারবেন। এমনকি তিনি দাবী করেছেন, কবে কোথায় ডিড কেনা হয়েছিল তার সমস্ত হিসাব তার কাছে রয়েছে। এমনকি কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে যে জায়গাটি রয়েছে সেটি তিনি ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।
এই টাকা রোজগার করার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসা আর টিউশন পড়িয়ে তিনি তার সম্পত্তি করেছেন। তার দাবি অনুযায়ী ২৪০ জন ছাত্র ছিল তার এবং তাদের টিউশন পড়িয়ে মাসে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা রোজগার করতেন। এর পাশাপাশি ব্যবসা এবং ব্যবসা ছাড়াও একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখান থেকেও বেতন আসত তার।